নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে।
যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়। আমাদের দেশকে গাজার মত বানাতে চায়। শেখ হাসিনা একা এগুলোকে মোকাবিলা করছেন। আমাদের সকলকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামি করেছি দুশো বছর। এবার গোলামি থেকে মুক্তি পাবেন না, দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি গণসংযোগে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইবো না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাবো, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারবো না।
আমার বাবা ও দাদা সবাই এমপি ছিলেন। অনেকে রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেয়। আমরা রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করলে আল্লাহ যদি খুশি হন আপনারাও খুশি হবেন। আমরা বারো থেকে পনেরো হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী বাংলাদেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। আমার মাকে আমার দাদা হীরা মহল উপহার দিয়েছিল। আমার বাবা ক্ষমতায় থাকাকালে প্রচুর টাকা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেই বাড়ি বন্ধক রেখে আমার বড় ভাইকে বিয়ে দিয়েছিলেন।
১৬ জুন ২০০১ আমাকে মারার জন্য বোম ব্লাস্ট করা হয়েছিল। আমার বেঁচে থাকার কথা না। আমার পা খুলে গিয়েছিল। হয়ত ভাল কাজ করায় আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি যখন কাবা শরিফে গিয়েছিলাম। সেদিন শুক্রবার ছিল, বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি সেখানে বসে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করবো, পুনর্বাসন করবো। আমি আপাকে বললাম আমি আল্লাহর ঘর ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছি। তিনি বললেন ভাল কাজ করতে গেলে বাঁধা আসবেই। তুমি তোমার কাজ করে যাও। যেদিন সে কাজে হাত দিলাম সেদিনই বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডররা বড় বড় বক্তব্য দেয়া শুরু করল। নারায়ণগঞ্জের সকল ইমাম সাহেব ও বিভিন্ন ধর্মের গুরুদের সঙ্গে পরামর্শ করে এটা উচ্ছেদ করেছি।
এত কাজ হচ্ছে। এগুলো ভোগ করবে কে। আমি আর ভোট চাইবো না। আমি রাজনীতি না করলে বৌ বাচ্চা নিয়ে বিদেশ ঘুরতাম। এবার আমি শপথ করেছি। যদি আল্লাহর হুকুম হয়, এটা আপনাদের সহায়তা ছাড়া পারবো না। আপনারা যদি ফুল ফল গাছ লাগান সেটার পরিচর্যা করেন। ফুল নেন ফল খান। সেটা পরিচর্যা না করলে জঙ্গল হবে কাঁটা গাছ হবে। আমি ফুলগাছ হলে আমাকে পরিচর্যা করবেন আর কাঁটা গাছ হলে আমাকে উচ্ছেদ করবেন।