logo
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:১৫
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ, খালাস চাইলেন ইউনূসের আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ, খালাস চাইলেন ইউনূসের আইনজীবী

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের খালাস চেয়েছেন তাদের আইনজীবী।  রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি ইউনূসসহ চারজনের খালাস দাবি করেন।  

এরপর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন। তিনি ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আরেক আইনজীবী হায়দার আলী শুনানি করছেন।  

এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুপুরে ৩০ মিনিটের বিরতি দিয়ে শুনানি চলে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত। মাগরিবের নামাজ শেষে ফের শুনানি শুরু হয়। ইউনূসের পক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।  

এরপর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন। তিনি ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এরপর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আরেক আইনজীবী হায়দার আলী শুনানি করেন।  

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।  

এর আগে ২২ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে  ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তারা।  

এরপর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। সেই থেকে ১০ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।   

মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।  

৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।