বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা শুল্ক কর পরিশোধ ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণের অলংকার আনতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার করছেন। এর কারণে দেশের জুয়েলারি শিল্প ধ্বংস হচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে বাজুস স্ট্রান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
সংগঠনটি বলেছে, ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারের কারণে দেশের জুয়েলারি শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। স্থানীয় কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্তে ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। দেশে ডলার সংকটের এ সময়ে সরকারের কড়া নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছে বাজুস।
সভায় জানানো হয়, জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়িক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ২৪ জুন ‘অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে বাজুস। এতে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনায়নকৃত স্বর্ণ ও অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজুসের নির্দেশনা হলো: বিক্রেতার পাসপোর্টের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।
বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে। এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন/ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স দেওয়ার ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।
বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্রান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্টের চেয়ারম্যান রিপনুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য আরও দেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্রান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন, কমিটির সদস্য শাওন সাহা, মো. দিদারুল আলম প্রমুখ।