কারওয়ান বাজার এফডিসি সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি বস্তিতে আগুনটি কোনো দুর্ঘটনা না কি নাশকতা, তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে তেজগাঁও এলাকাধীন রেললাইন বস্তিতে আগুন লাগে। মোল্লাবাড়ি বস্তি নামে পরিচিত এফডিসির পেছনের এ বস্তিতে প্রায় ৩০০ পরিবার বাস করে। এদের বেশিরভাগ মানুষই কারওয়ান বাজারে মাছ কাটেন, দিনমজুরের কাজ করেন। গভীর রাতে যখন এখানে অগ্নিকাণ্ড হয় আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ভোর পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। এরা হলেন- এক নারী ও দুই বছরের এক ছেলে শিশু। এ ছাড়া দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন- এক নারী ও এক শিশু।
বস্তির মালিকানা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি এ বস্তিটির মালিকানা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির মালিক। তিনি এখানে কিছু বস্তির মতো ঘর করেন। এখান থেকে বের হওয়ার মতো প্রশস্ত তেমন কোনো রাস্তা নেই। বের হয়েই দেখা যায় রেললাইন। এখানে কোনো সড়কের সঙ্গে এটার সংযোগ নেই। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।
নিহতদের পরিচয় বিষয়ে তিনি বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় স্পষ্ট জানা যায়নি। কারণ তারা এমনভাবে পুড়েছেন যে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে দুজন নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, যারা নিখোঁজ আছেন তারাই হয়তো এ দুজন। মরদেহগুলোর আমরা ডিএনএ নমুনা রেখে দিচ্ছি। পরে পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বস্তির মালিক এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে বাড়ির মালিক এখানে বস্তি করে রেখেছেন, তাতে পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, চলাচলের ব্যবস্থা, রাস্তা সবকিছু সঠিক ছিল কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।