আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন (Jutta Urpilainen) এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের (Janez Lenarčič) সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
সাক্ষাতকালে ইউরোপীয় কমিশনারদ্বয় বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে ইইউয়ের সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জোরদার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একত্রে কাজের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসের (Josep Borrell Fontelles) সাথেও এ দিন ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
আরো পাঁচ দেশ নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল, লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ দিন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্কে ব্রুইনস স্লট (Hanke Bruins Slot), অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ (Alexander Schallenberg), হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো (Péter Szijjártó), পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহো (Dr. João Gomes Cravinho) এবং লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিসের (Gabrielius Landsbergis) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোত মন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তুর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।
পাশাপাশি লুক্সেমবার্গের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল (Xavier Bettel) এবং স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজা ফাজনের (Tanja Fajon) সাথেও ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।