logo
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৯:৫৩
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের মুলহোতাসহ দুই জন গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী 
চক্রের মুলহোতাসহ দুই জন গ্রেফতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর  অভিযোগে গাজীপুর এর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় আজ ( ২৫  ফেব্রুয়ারি) সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি অভিযান চালিয়ে মো: মাহদী হাসান খান (২২) ও মো: আব্দুর রহমান সোহান (২০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ১০ টি সিম কার্ড কার্ড জব্দ করা হয়।  গ্রেফতারকৃত আসামীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞাপন দিতো।  

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী মো: মাহদী হাসান খান (২২) ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফেইক ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময়ে উক্ত আইডিগুলো সচল করে এবং ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় মর্মে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ফেসবুক আইডি/পেইজ থেকে বøক করে দেয়। অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য সে তার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এমএফএস একাউন্ট ব্যবহার না করে ভুয়া নামে পার্সোনাল ও মার্চেন্ট এমএফএস একাউন্ট ব্যবহার করতো। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে উক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে পরীক্ষার আগে ১০০% কমন প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দিতো ও কমেন্ট সেকশনে কমেন্টস করতো। তার বিজ্ঞাপন ও কমেন্টস দেখে পরীক্ষার্থীরা তার সাথে যোগাযোগ করলে প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম টাকা নিয়ে তাদের ব্লক করে দিতো। 

গ্রেফতারকৃত অপর আসামী মো: আব্দুর রহমান সোহান (২০) পূর্বে বিকাশ এর ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে চাকুরি করতো। সেই সুবাদে সে কোনোরকম কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে এমএফএস এর মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে দিতো। প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য সেই মার্চেন্ট সিম আসামী মো: মাহদী হাসান খান (২২) এর নিকট সরবরাহ করতো। 

সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।