আপডেট : ১ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৩৪
পঁচিশ বছর পরের পাঠিকা এবং আমি
গোলাম কবির
আজ থেকে পঁচিশ বছর পরে
মনে করো আমি নেই!
এমনই কোনো একুশের বইমেলায়
একটা ফুটফুটে জ্যোৎস্নার
আলোজ্বলা সন্ধ্যাবেলায়
সেদিনের কোনো এক বাসন্তী রঙের
শাড়ি পরা, মাথায় ফুলের মুকুটে
শোভিত বাবার সাথে তার আদুরে
সুন্দরী কন্যা বইয়ের দোকানে
ভিড়ের মধ্যে খুঁজতে খুঁজতে
পেয়ে গেলো তাকের ওপরে
ধূলার আস্তরে ঢেকে থাকা আমারই
ভালোবাসার কবিতার সংকলন!
সে তখন হয়তো পরম মমতায়
ধূলা মুছে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ছে
আমার লেখা দুই একটা কবিতা!
কোনো একটা কবিতা পড়ে তার হয়তো
ভীষণ বিরক্তিকর অনুভব হচ্ছে,
সে হয়তোবা হঠাৎ ভুরু কুঁচকে
বলে উঠলো রাবিশ কবিতাগুলো!
তারপর যখন সে আরো
একটু একটু করে পৃষ্ঠা উল্টে পড়লো,
তখন তার মনে হলো ;
নাহ্! এটা তো কোনো কবিতা নয়
বরং এটা কবির বিরহানলে
পোড়া হৃদয়ভষ্ম কিংবা
কবির প্রেম না পাওয়ার বেদনায়
মৃত্তিকার বুকে কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়া
পাপড়ির মতো হৃদয়ের কষ্টগুলো
জড় করা হয়েছে পুড়িয়ে দেবার জন্য
যেনো তার কষ্টগুলো আর
কেউ দেখতে না পায়!
অথচ আমি তো আমার ভালোবাসা,
পাওয়া না পাওয়ার দুঃখের
নীল নকশাকরা চাদর বুনে
বিছিয়ে দিয়েছি আমার
দুঃখিনী বর্ণমালায় গেঁথে
সাজিয়ে দিয়েছি কবিতার শরীরে!