পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর ৫ম দিনে আজ শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিবের সাথে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন -এর সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানজুরুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মতবিনিময় সভা বাস্তবায়ন উপকমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ পুলিশের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রাজারবাগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সেসব পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা কর্তব্য পালনে যে দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেন তার প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে উন্নয়ন কষ্টসাধ্য। তাই বাংলাদেশ পুলিশের সার্ভিস অত্যন্ত অপরিহার্য।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আপনারা যেভাবে কাজ করছেন সেজন্য আপনারা প্রশংসার দাবিদার। তিনি আরো নিষ্ঠার সাথে এ দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
আইনমন্ত্রী সভায় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো গুরুত্বসহ বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে। যুগের চাহিদা এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ নিজেদের গড়ে তুলছে। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত স্বাভাবিক থাকার কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। সভায় প্রস্তাবিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব বিষয় বিবেচনায় অত্যন্ত আন্তরিক। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশের যে কোন সংকট ও প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনে কুন্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশ কখনো তাদের পেশাদারিত্ব থেকে বিচ্যুত হয়নি।
দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে। আইজিপি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিষয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।