ভারতের ধনকুবের অনন্ত অম্বানী- রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানে চুটিয়ে মজা করেন কয়েকটা দিন দীপিকা পাডুকোন ও তার স্বামী রণবীর সিং। বিয়েতে যোগ দিতে স্বামী রণবীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন গুজরাতের জামনগরে। কিন্তু, মুম্বাইয়ে ফিরতে না ফিরতেই ব্যাগ ভর্তি উপহার পাঠালেন বাঙালি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। অভিনেত্রী নিজেই সামাজিকমাধ্যমে সেই উপহারের ছবি পোস্ট করে বিষয়টি জানান। একইসঙ্গে ধন্যবাদও জানিয়েছেন দীপিকাকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। টলিউডের পাশপাশি বলিউডেও রীতিমতো যোগাযোগ রয়েছে তার। গেল কয়েক বছরে বেশ কিছু কাজও করেছেন সেখানে। তিনি টলিপাড়ার একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি শাহরুখ খান, সালমান খানের সঙ্গেই ডাক পান বাবা সিদ্দিকির তারকাখচিত ইফতার পার্টিতে। এবার নারী দিবসে ঋতাভরীর জন্য একগুচ্ছ উপহার পাঠালেন দীপিকা।
কিন্তু কী ভাবে হল ঋতাভরী-দীপিকার বন্ধুত্ব? পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমকে ঋতাভরী বলেন, আমাদের আসলে বন্ধুত্ব নেই। আমার সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল দীপিকার। তাও আবার ২০১৮ সালে পরিচালক-প্রযোজক দীনেশ বিজনের বিয়েতে। তখন কথা হয়, তারপর শুক্রবার এমন একটা উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি।
ঋতাভরী আরও বলেন, আসলে দীপিকার প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান নারী দিবস উপলক্ষে এমন কিছু নারীকে উপহার পাঠাতে চেয়েছে, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছেন। সেই উদ্দেশ্যেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার স্টোরিতে তার প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু লিখতে হবে। তবে তেমন কিছুই না। একদম নিঃস্বার্থ উপহার এটা।
এদিকে সামাজিকমাধ্যমে ঋতাভরী লেখেন, আমি ভীষণ খুশি। পাশাপাশি এটাও মনে হচ্ছে, দীপিকার মতো এমন একজন তারকাও নতুন প্রজন্মের জন্য ভাবছেন এবং তাদের উৎসাহিত করছেন। আসলে অন্য যে সব তারকার এমন প্রসাধনী ব্র্যান্ড রয়েছে, তারা হালকা করে এ কথা ছুঁয়ে যান, যাতে তাদের প্রচারটা হয়। দীপিকা একেবারেই সে রকম নন। আমি এটাই শিখলাম তার কাছ থেকে যে, সব কিছু জীবনে নিজের লাভের জন্য নয়, অন্যদের উৎসাহ দেওয়াটাই বিশালতার লক্ষণ।