ত্বকের ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু একে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করেন অনেকে। অথচ এই ব্রণ চটজলদি সারানোর উপায় আছে আপনার হাতেই।
সব বয়সের মানুষই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। শুধু যে মুখেই ব্রণ হয়ে তা নয়। শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে ব্রণ। বেশিরভাগ মানুষই অনেক চেষ্টা করেও এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পান না।
ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিষেক দে জানিয়েছেন, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ, লোশনের সঙ্গে কিছু খাওয়ার ওষুধও দিতে হয় সমস্যা আটকাতে। তবে ব্রণের প্রবণতা কম হলে কিছু লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যেমন- ওজন ঝরানো, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং দুধজাতীয় খাবার কমাতে হবে। এছাড়া যারা আগুনের তাপে রান্নাবান্না করেন, তাদেরও ব্রণের সমস্যা বাড়ে।
এ ছাড়া কিছু ঘরোয়া উপায় তো আছেই সমস্যা নিরসনের জন্য। তবে ঘরোয়া টোটকা কখনওই অব্যর্থ নয়! নানা মানুষের নানা অভিজ্ঞতা। কারও কোনো টোটকা কাজ করে, কারও আবার করে না। যে টোটকাগুলো তার মধ্যে বেশি ভালো কাজ করে, তার একটা তালিকা দেওয়া হলো। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেসব কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া ৬ উপায়
টুথপেস্ট
ব্রণ দূর করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। জানেন কি, টুথপেস্ট ব্যবহারে একদিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় ব্রণ! উপকার পেয়েছেন অনেকেই। রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন, ব্রণে অনেকটা শুকিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আলুর খোসার যত উপকারিতা
নিম-তুলসির পেস্ট
নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আর তুলসির অ্যান্টিব্যাকোটেরিয়াল প্রপার্টি। দুই পাতার পেস্ট ব্যবহার করুন ব্রণ দূর করতে।
মধু-দারচিনি
দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে রাখুন। ব্রণের ঠিক উপরে লাগান। সারারাত রেখে দিতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ব্রণের ওপর লাগিয়ে সারারাত শুকাতে দিন এবং পরের দিন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা
এক চামচ অ্যালোভেরার সঙ্গে চার-পাঁচটি করে তুলসী ও নিমপাতা পেস্ট করে নিয়মিত খেলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ওটস
ত্বকের তেলাভাব দূর করতে ওটস দারুণ উপকারী। ওটস অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। ব্রণ বা ফুসকুড়ির নিরাময়ে সাহায্য করে। ব্রণ-ফুসকুড়িতে মধুর সঙ্গে ওটস লাগান।
সূত্র: এবিপি আনন্দ