অবশেষ রমজান মাসে স্কুল খোলা। আজ দুপুরে হাইকোর্টের আপিল বিভাগে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর আগে স্কুল বন্ধ রাখার পৃথক প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠে।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চের সম্পূরক কার্যতালিকার ২১১৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল আবেদনটি।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় শুনানির পর অপিল বিভাগ খোলার পক্ষে রায় দেন।
এর আগে এক অভিভাবকের করা এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম।
ওইদিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারের সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাইকোর্ট রুলও জারি করেছেন।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে সোমবার আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদন মঙ্গলবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য করে দেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
এ অনুসারে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কার্যতালিকাভূক্ত হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
রিটকারী পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে।
অন্যদিকে, আগামী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।