logo
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫০
কুমিরের পিঠে বসলো স্যাটেলাইট ট্রান্স মিটার
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিরের পিঠে বসলো স্যাটেলাইট ট্রান্স মিটার

কুমিরের পিঠে বসলো স্যাটেলাইট ট্রান্সিমটার। এই ট্রান্স মিটার বসিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানবেন কুমিরের  জীবনাচরণ। জানতে দুটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।  
গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ভদ্রা নদীতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কুমির দুটি অবমুক্ত করা হয়।
এসময় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, IUCN এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাউইরা, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অবমুক্ত করা কুমির দুটির একটি সুন্দরবনের করমজলের কুমির জুলিয়েট এবং অন্যটি যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধু। কুমির দুটির পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে কুমিরের জীবনাচরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা যাবে। জীবনাচারণ জানার ফলে কুমিরের খাবার ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আরও বেশি জানা যাবে বলে জানান এই করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।

তিনি বলেন, মূলত জীবনাচারণ জানতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কুমির বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত ছিলেন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে। আশাকরি এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা কুমির বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব। ফলে কুমিরের খাবার ও চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।