logo
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪৭
ধারাবাহিক উপন্যাস- পর্ব- ১৪
নিশিকথা
ওমর ফারুক

নিশিকথা

ভেতরে বসতে বলবেন না?

হাসি মুখেই বললেন আশফাক সাহেব। এবার অবাক হওয়ার পালা ইমরানের। যেখানে তাকে গালাগালি করার কথা, তা না করে তিনি হাসি মুখে ভেতরে যেতে চাইলেন। ইমরারন ধারণা করলো, মিষ্টি কথার মারপ্যাচে তাকে অপমান করবেন আশফাক সাহেব। বড় অফিসারদের অপমান করার ধরণই আলাদা। অবশ্য এখন পর্যন্ত ইমরানের তেমন কোন অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে বন্ধুদের কাছ থেকে বড়- অফিসারদের বিষয়ে ঢের শুনেছে সে। 
এতক্ষণে ইমরানের মনে পড়ল, সে দরজার সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলছে। সে আশফাক সাহেবকে তার রুমে নিয়ে গেল। আশফাক সাহেব গোছা্নো ঘর দেখে অবাক না হয়ে পারলেন না। ইমরান এখনো বিয়ে করেনি। তার ঘরে নারীর ছোঁয়া থাকার কথা নয়। কিন্তু এত সুন্দর করে ঘরটা সাজানো যে, কোনো সৌখিন নারী ছাড়া এমন ঘর গুছিয়ে রাখতে পারে কেউ, তা আশফাক সাহেবের মাথায় আসে না। কিন্তু এত গোছানো একটা লোক কিভাবে এতবড় একটা ভুল করলো তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। 
চুলার উপর চায়ের কেটলী দিয়ে আসার কথা মনে পড়ে ইমরানেরন। আশফাক সাহেবকে বলেন-
স্যার চা খাবেন তো? কিছুটা সময় নিয়ে তিনি বলেন-
না না, চা আনা লাগবে না। 
চা আনতে হবে না। আমি বাসায়ই বানাই। অলরেডি পানি ফুটানোর জন্য চুলোয় কেটলী চাপানো হয়েছে। 
ইমরানের কথা শুনে চা খেতে আপত্তি করলেন না আশফাক। চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন-
ভালো চা হয়েছে।
ইমরান খুশি হয়। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থির হয় না। চায়ে চুমুক দিতেই সে লজ্জায় পড়ে যায়। 
চায়ে সম্ভবত বেশি পাতা দিয়ে ফেলেছি। তেতো হয়ে গেছে। সরি স্যার।
আমি এমন চা-ই পছন্দ করি। কিন্তু পাই না। আপনার চা আমার ভাল লাগছে। 
কথা শুনে স্বস্থি পায় ইমরান। এবার কাজের কথা বলার ছুঁতো খুজছেন আশফাক সাহেব। তরুণীর কথাটা কিভাবে ওঠাবেন ভেবে স্থির করতে পারছিলেন না তিনি। এতে সমস্যা হয়নি। বরং কথাটা ইমরানই ওঠালো। 
স্যার, আই অ্যাম রিয়েলি সরি স্যার। এমন একটা উল্টাপাল্টা কাজ হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি। আমি কি বলে যে, আপনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেবা ভেবে পাচ্ছি না। আসলে হয়েছে কি, যে মেয়েটির ছবি ছাপা হয়েছে সে আমার বান্ধবী। নাম নিশি...

চলবে..