logo
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৪ ০৯:৫৮
ধারাবাহিক উপন্যাস- পর্ব- ২৫
নিশিকথা
ওমর ফারুক


নিশিকথা

দিবা পৌঁছার আগেই নাহিদের বাসায় এসেছেন তারিক। তারিক, জবা ও নাহিদ কথা বলছিলেন নাহিদের ঘরে বসে। কলিং বেলের শব্দ হতেই তারিক বুঝতে পারেন দিবা এসেছ। দিবার কলিংবেল চাপাটাতেও এক ধরনের আবেগ খুঁজে পান তারিক। অনেক সময় মানুষের মনই বলে দেয়, কি হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে খারাপ সংবাদগুলোই বেশি মনকে নাড়া দেয়।
জবা দরজা খুলতে গিয়েছে। বুঝতে পেরেও বাধা দেননি তারিক। তবে তার মনের মধ্যে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সেই ঝড়ের পূর্বাভাস দেননি নাহিদকেও। তার কথা বারবার জড়িয়ে যাচ্ছিল। একবার নাহিদ তাকে জিজ্ঞেসও করেছিল তারিকের শরীর খারাপ লাগছে কি না। প্রেসার বেড়েছে কি না ইত্যাদি। সত্যিই তারিকের প্রেসার বেড়েছে। কিন্তু এই প্রেসারে তার ঘাড় ও মাথাব্যথা হয়নি। প্রেসার বাড়লে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে শুনেছেন তারিক। কিন্তু আজকের প্রেসার মস্তিস্কে নয়, তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দিবার সঙ্গে জবার কি কথা হচ্ছে কে জানে। সেই কথা শোনার জন্য তারিকের আগ্রহ ব্যাপক। বারবার তিনি দরজার দিকে তাকান। এই ক'টা সেকেন্ড যেন তারিকের কাছে কয়েক বছরের সমান মনে হচ্ছে। তারিক একবার উঠে দরজা পর্যন্ত যেতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জবা ও নাহিদ বুঝেল ফেলবে ভেবে আর যায়নি। মোবাইল ফোনে দিবার কণ্ঠ আগের মতোই মিষ্টি মনে হয়েছে। ২০ বছর পর তার চেহারা কেমন হয়েছে তা দেখার আগ্রহ তারিকের থাকার কথা। কিন্তু এ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চিন্তাই করছেন তারিক। 
প্রায় মিনিট খানেক পরই তারিকের অপেক্ষার পালা শেষ হয়। জবা দিবাকে নিয়ে আসে তাদের কক্ষে। নাহিদ তখন বিছানায় শুয়ে বালিশের উপর হাত রেখে অর্ধশোয়া ছিলেন। দিবাকে দেখে চমকে ওঠেন তিনি। তারিকও চমকান। তবে নাহিদের মতো নয়।

চলবে..