logo
আপডেট : ৩ জুন, ২০২৪ ১১:১২
‘ইবি রেজিস্ট্রারের’ আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল, অব্যাহতির দাবি শাপলার
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ইবি রেজিস্ট্রারের’ আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল, অব্যাহতির দাবি শাপলার

অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানের আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল হয়েছে।  

শনিবার (১জুন) ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে ভিডিওকলে দুজনকেই নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়।

প্রকাশিত ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইবি শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম।  

রোববার (০২ জুন) বেলা ১১টায় ফোরামের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উনার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়াও সভায় ইতোপূর্বে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জনৈক এক ঠিকাদারের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডটিতে ইবি রেজিস্ট্রারের মুখ স্পষ্ট বোঝা গেলেও বিপরীত পাশের নারীকে শনাক্ত করা যায়নি।  

তবে ভাইরাল ওই ভিডিওকে ‘এআই এডিট’ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমি ভিডিওটা দেখেছি। এগুলো এআই দিয়ে এডিট করা ভিডিও। এডিট করে অন্যজনের দেহে আমার মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করতে আমার বিরোধীপক্ষ এটি করেছে। ন্যাচারালি এর শাস্তি তারা পাবে। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ভিডিওটা দেখিনি। এমন অশ্লীল ভিডিও দেখতেও চাই না। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। তিনি জড়িত থাকলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।