ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মিশন বাস্তবায়নকারী শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে যেসব নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন, তাতে এ ঘটনায় আরও ফেঁসে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতি বিদদের সম্পৃক্ততার আভাস পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভারতে সেপটিক ট্যাংক থেকে যে মাংস পাওয়া গেছে সেগুলো আনারের বলে নিশ্চিত হওয়া গেলে আরো অনেকে গ্রেপ্তার হবেন।
এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার কারণে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তার আগে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আনার হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন বাবু। হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সবকিছুতে তার সম্পৃক্ততা মিলেছে। আনার হত্যার পর মিশন বাস্তবায়নকারীদের দুই কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল তার। সঞ্জীবার ওই ফ্ল্যাটে আনারের মুখে চেতনানাশক স্প্রে করার পর তার পোশাক খুলে নগ্ন ছবি তোলা হয়েছিলো।