কন্টেন্টের নামে অশ্লীল ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সোহাগ সিকদার (২৬) ও হৃদয় আহম্মেদ (২৩)।
সিআইডি জানায়, গত ১০ জুন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া -এর নির্দেশনায় অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে ঢাকাস্থ মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সোহাগ সিকদার (২৬), পিতা-মো: ইউনুস সিকদার, মাতা-নয়ন তারা বেগম, সাং-দক্ষিণ লক্ষীপাশা, ইউ/পি-আদাবাড়ীয়া, পো: মাধবপুর, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালি, বর্তমান ঠিকানা-বাসা নং-৩, লেন-৬, রোড-১০, মিরপুর-১১, থানা-পল্লবী, ঢাকা ও ২) হৃদয় আহম্মেদ (২৩), পিতা-শহীদুল আকন্দ, মাতা-সেতারা বেগম, ইউনিয়ন-বদরপুর, আকন্দ বাড়ী, থানা-সদর, জেলা-পটুয়াখালী, বর্তমান ঠিকানা-এ/পি- মুছা টাওয়ারের পিছনে, বারেক মোল্লার রোড, ৬০ ফিট, মিরপুর, ঢাকা দ্বয়কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।
সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি নিয়মিত সাইবার পেট্রলিং কালে জানতে পারে একটি অসাধু চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরীর নামে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল সংলাপ, অভিনয় ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গিযুক্ত ভিডিও চিত্র ধারণ ও প্রদর্শন করছে। উক্ত বিষয়ে অনলাইন সার্চ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টাইটানিক ৭৬ (লিংক-https://www.facebook.com/Taitanic76) নামে একটি ফেসবুক পেজ পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহাগ সিকদার এডমিন হিসেবে টাইটানিক ৭৬ নামক পেজটি পরিচালনা করত এবং হৃদয় আহম্মেদ অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি করত।
পরবর্তীতে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) এর একটি চৌকস দল ঢাকাস্থ মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল সংলাপ ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি নির্ভর কন্টেন্ট তৈরী এবং প্রচারকারী ১) সোহাগ সিকদার ও ২) হৃদয় আহম্মেদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তাদের নিকট হতে ০১ টি অপ্পো মোবাইল, ০১ টি সনি ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা, ০১ টি ডিজিআই ক্যামেরা, ০২ টি হার্ডডিস্ক, ০১ টি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক এবং ০৩ টি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি পল্টন থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ- ১১/০৬/২০২৪ ইং, ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১)/৮(৩)/৮(৪)/৮(৫)(ক)/৮(৭) রুজু করা হয়েছে। ফেসবুকে Taitanic76 ছাড়াও বেশকিছু পেজ সিআইডির নজরে এসেছে যেগুলির মাধ্যমে অশ্লীল কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সে পেজ গুলো সনাক্তকরণসহ আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।