মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি কৃষক নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। আগামীতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৬ ও ১৪৭ এর মাঝে নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের ফুলবাড়িয়া বিএসএফ ক্যাম্প ও বিজিবি কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কৃষক নির্যাতনের কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
৪৭ বিজিবি কুষ্টিয়া সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোর্শেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তবর্তী মাঠে নিজ জমির মরিচ ক্ষেতে ঘাস কাটার পর কৃষক আলমগীর আইলে বসেছিলেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্য তাকে লাঠিপেটা করে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজিপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী মাঠে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৪৬ ও ১৪৭ এর মাঝে নিজ জমির মরিচ ক্ষেতে ঘাস কাটার পর জমির আইলে বসেছিলেন কৃষক আলমগীর হোসেন (৩৬)। পাশেই ভারতের মুরুটিয়া থানার গান্ধিনাপুর গ্রামের আবুল শাহ’র কলাবাগান। হঠাৎ কলা বাগানের ভেতর থেকে ভারতের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের দুই সদস্য এসে আলমগীর হোসেনকে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে। পরে কৃষক মারা গেছে ভেবে বিজিবি সদস্যরা পালিয়ে যায়। একই মাঠে কাজ করছিলেন কাজিপুর গ্রামের আরেক কৃষক আফাজুল। পরে তিনি অন্যান্য কৃষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সীমান্তবর্তী ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আজগর আলী বলেন, সৌদি প্রবাস ফেরত আলমগীর হোসেন বিএসএফের নির্যাতনে আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ক্ষত রয়েছে।