পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের বিদ্যমান পদ্ধতির বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা হ্রাস করে উদ্যোক্তাগণের ভোগান্তি দূর করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার স্মার্ট ট্রান্সফরমেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে ছাড়পত্রের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে, সেবাগ্রহীতাদের সময়, খরচ ও অফিসে আসা হ্রাস পাবে। উদ্যোক্তা কর্তৃক ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে যে সকল শর্তে ছাড়পত্র দেয়া হবে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে Quick-Win বিষয়ক পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানে স্মার্ট ট্রান্সফরমেশন কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার স্মার্ট ট্রান্সফরমেশনে আধুনিক প্রযুক্তির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদনপত্র দাখিল, অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড ও ছাড়পত্র প্রাপ্তির সুবিধা থাকবে। ছাড়পত্র প্রক্রিয়া মনিটরিং সহজ হবে। উদ্যোক্তা কর্তৃক অনলাইনে আবেদনের অগ্রগতি ট্র্যাকিং সুবিধা এবং অনলাইনে প্রক্রিয়াকরণ ফি, ছাড়পত্র/নবায়ন ফি, ভ্যাট চালান প্রদানের সুবিধা থাকবে। জাল/অবাঞ্ছিত কাগজপত্র সনাক্তকরণ করা যাবে। ছাড়পত্রের আবেদনের তথ্য এবং ছাড়পত্র সঠিকতা যাচাই করা যাবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।