logo
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৯
২৫ রানে নেদারল্যান্ডসকে হারালো বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ রানে নেদারল্যান্ডসকে হারালো বাংলাদেশ

নেদারল্যন্ডসকে  রানে হারিয়ে সুপার এইটে যাওয়ার পথ সুগম করলো বাংলাদেশ। তবে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে বেশ কষ্টই করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। খেলার এক পর্যায়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিচ্ছে এমনই মনে হচ্ছিল।  সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। রানে ফিরে ২০ মাস পর ফিফটির দেখা পান সাকিব আল হাসান। ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

১৬০ রানের টার্গেট নিয় নেদারল্যান্ডস ব্যাট করতে নামে। তারা ২০ ওভারে  ৮উইকেট হারিয়ে  রান তুলে। বাংলাদেশ জয় পায় ২৫ রানে। 

মাঝারি মানের পুঁজির পর মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে প্রথম ওভার তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই ওভারে পাঁচ রান দেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় ওভারে সমান রান দেন তানজিম হাসানও। তৃতীয় ওভারে একটি ছক্কা হজম করেন তাসকিন আহমেদ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন ডানহাতি এই পেসার। তার বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ১৮ রান করা লেভিট। পরের ওভারে নিজের বলে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ১২ রান করা ও ডাউডকে ফেরান তানজিম।
বৃহস্পতিবার আর্নেস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ।  
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে তিন রান নেয় বাংলাদেশ। পরের ওভারেই নেদারল্যান্ডস বোলিংয়ে নিয়ে আসে আরিয়ান দাত্তকে। আগের ম্যাচের একাদশে একটি বদল এনে তাকে ঢুকিয়েছিল ডাচরা। তাদের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে স্রেফ দুই বল দরকার হয় আরিয়ানের।
যদিও তাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দায়ই বেশি। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি, ৩ বলে করেন ১ রান। শান্তর বিদায়ের ওভারে আসে স্রেফ ২ রান। পরের ওভারে গিয়ে হাত খোলেন তানজিদ হাসান তামিম। একটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান তিনি।

কিন্তু পরের ওভারে আবার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার আরিয়ানের বলে সুইপ করেন লিটন। কিন্তু অনেকটুকু দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন অ্যাঙ্গলব্রেখ। এরপর দারুণ জুটিতে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।  

তারা দুজনই ছিলেন আক্রমণাত্মক। এই ম্যাচের আগে অনেক কথা হয়েছিল সাকিব আল হাসানের অফ ফর্ম নিয়ে, রানে ফেরেন তিনি। তাদের ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি ভাঙে পল ভ্যান মেকেরিনের বলে তানজিদ ফিরলে। বাতাসের বিপক্ষে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ভাস ডি লিডের হাতে। ২৬ বলে পাঁচটি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন তানজিদ।  

উইকেট হারানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বাউন্ডারিও কম আসতে থাকে। এর মধ্যে ১৫ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। টিম প্রেঙ্গেলের বলে বোল্ড হন আগের দুই ম্যাচে দারুণ করা এই ব্যাটার।  

উইকেটে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। তবে ১৭তম ওভারে গিয়ে ১৬ রান তোলেন টিম প্রিঙ্গেলের বলে। যদিও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ভ্যান মেকেরিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দেন তিনি। ২১ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রিয়াদ।  

৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান সাকিব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০ ও বিশ্বকাপে ১৭ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। শেষ অবধি উইকেটে থেকে দলকে ভালো সংগ্রহও এনে দেন সাকিব। জাকেরের সঙ্গে মিলে শেষ দুই ওভারে এনে দেন ২৬ রান। ৯ চারে ৪৬ বলে ৬৪ রান করেন সাকিব। ৭ বলে ৩ চারে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের।