পারফরম্যান্স ছিল একদম পড়তির দিকে। ব্যাটিংয়ে আউট হওয়ার ধরন সমালোচনার তৈরি করছিল অনেক।
বোলিংয়েও সাকিব আল হাসান ছিলেন না সাবলীল। তাকে নিয়ে তাই নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছিল।
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো তীর্যক ভাষায় সাকিবের সমালোচনা করেছিলেন। পরামর্শ দিয়েছিলেন অবসর নেওয়ারও। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন সাকিব। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল শেবাগের মন্তব্য নিয়ে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় কখনও কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। খেলোয়াড়ের কাজ হচ্ছে সে যদি ব্যাটার হয় ব্যাটিং করা, দলের জন্য অবদান রাখা, সে যদি বোলার হয় তার কাজ হচ্ছে ভালো বোলিং করা, উইকেটটা ভাগ্যের ব্যাপার থাকে। ’
‘সে যখন ফিল্ডিং করে তখন তার কাজ হচ্ছে প্রতিটা রান বাঁচানো, যতগুলো ক্যাচ তার কাছে যায় ততগুলো ধরা। এখানে আসলে উত্তর দেয়ার কিছু নেই কাউকে। বর্তমান একজন খেলোয়াড় সে দলের হয়ে কতটা কৃতিত্ব রাখতে পারে... সেটা যখন রাখতে পারে না তখন স্বাভাবিকভাবেই কথা হবে এবং আমি মনে করি সেটা খুব খারাপ কিছুও না। ’
এ ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ ইনিংস পর। একই দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের শততম হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন সাকিব। যদিও ব্যক্তিগত অর্জন নয়, কেবল দল নিয়ে নিয়েই ভাবতে চান তিনি।
সাকিব বলেন, ‘নিজেরটা নিয়ে কখনই চিন্তিত ছিলাম না। আমার ক্যারিয়ারে মনে করি না কখনও এরকম চিন্তা করেছি। দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি সেটা ভালো লাগে। যেটা বললাম আজকে হয়তো আমার দিন ছিল, সামনের ম্যাচে হয়তো অন্য কারও দিন আসবে। ’