চিত্র নায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন ববি। পুলিশ জানিয়েছে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ১১৩ নম্বর সড়কে ওয়াইএন সেন্টারের ‘ভুবন’ নামের একটি রোস্তোরাঁ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই মামলা ও পাল্টা মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আনোয়ার হোসাইন জানান, গুলশানের ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা বাদী হয়ে গত ২৩ জুন ববির সহযোগি মির্জা আবুল বাশার ও ববির নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, “হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ। এ ঘটনায় ওয়াইএন সেন্টারের ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকা ও চোরাই এক লাখ টাকা যা এখনো উদ্ধার হয়নি।'
পুলিশ জানায়, ‘ভুবন’ নামের রোস্তোরাঁ ফ্লোরের মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার ছেলে জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনতে আসামি করেছেন ববি ও বাশার।”
ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা গণমাধ্যমেক বলেন, তাদের কাছ থেকে আমান উল্লাহ আমান নামের এক ব্যক্তি ‘ভুবন’ নামের রেস্তোরাঁটি ভাড়া নেন। আমান পরে ওই ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ববি ও মির্জা আবুল বাশারকে যুক্ত করেন। রেস্তোরাঁর ভাড়া বকেয়া থাকার কারণে আমানের কাছে ভাড়া চাইলে আমান একসময় আমাদের তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিতে বলে এবং জানায় যে এরপর থেকে ববি ও বাশার এটি পরিচালনা করবেন। আমরা এক মাসের ভাড়া হিসেবে মে মাসের আড়াই লাখ টাকা পেয়েছি ববি ও বাশারের কাছ থেকে। আড়াই লাখ টাকার যে রশিদ তাদের দিয়েছিলাম, সেটি নকল করে একই রশিদ নম্বরে তারা ৭ লাখ টাকার আরেকটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে। যেখানে লেখা ছিল ওয়াইএনসি কর্তৃপক্ষ আরো সাত লাখ টাকা বুঝে পেয়েছে। এটি মিথ্যা, আমরা বুঝতে পারি ববি ও বাশার লোক ভালো না। প
পরে ফ্লোরের মালিকের অনুমতি নিয়ে গত ২৩ জুন রেস্তোরাঁ তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়। বাশার গাড়ি নিয়ে ফটক ভাঙে। ভেতরে ঢুকে তারা ভাঙচুর করে। সাকিব বলেন, ববি আমাকে থাপ্পড় মারে এবং বাশার আমাকে ঘুষি মারে। বাশারের হাতে আংটি ছিল, এতে আমি রক্তাক্ত হই। বুঝতে পারি যে পেশীশক্তি খাটিয়ে রেস্তোরাঁ দখল করতে চায় বাশার। আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিই। পুলিশ আসে। পরে আমরা মামলা করি।”
আমান জানান, তারা রেস্তোরা ব্যবসা পােষাতে না পেরে ছেড়ে দিতে চান। তখন ববি ও বাশারের সঙ্গে রেস্তোরাঁর আসবাবপত্রসহ অন্যান্য বাবদে ৫৫ লাখ টাকার দাম ঠিক করা হয়। সবকিছু তারা কিনে নেন। এরপর ববি ও বাশার ২৫ লাখ ও ১৫ লাখ টাকার দুটো চেক দেন এবং আরও ১৫ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান। কিন্তু তাদের কাছ থেকে পাওয়া দুটো চেকই ডিজঅনার হয়।