স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি(জাইকা) বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবৎসরে জাইকা সহায়তায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ যার আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ হাজার ৩শত ৪৪ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা৷ চলমান অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের ২২৭ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে৷ প্রকল্পগুলোতে সর্বমোট বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৮শত ৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা৷
আজ (বুধবার) বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে জাইকা'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই এর সঙ্গে বৈঠককালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি এ তথ্য তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, জাইকা'র সহায়তায় বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি আরও ৪টি প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পগুলো হল উপজেলা প্রশাসন এবং উন্নয়ন প্রকল্প-২ ( ইউজিডিপি-২), প্রস্তাবিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পানি সরবরাহ প্রকল্প, চট্টগ্রাম ওয়াসা'র অধীন চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাসন প্রকল্প ক্যাচমেন্ট-২ ও ৪ এবং হাওর বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়)। প্রস্তাবিত ৪টি প্রকল্পে জাইকা'র সহায়তার পরিমাণ ২০ হাজার ৫শত ৭৬ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা হতে পারে৷
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাইকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সাথে কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাইকা সহায়তা করছে৷ আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে এই সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এই সময় জাইকা'র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাইকার যেসকল প্রকল্প চলমান রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সাথে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, নতুন কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক এগিয়েছে, আশা করছি এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে চুড়ান্তভাবে বের হয়ে আসবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, জাইকা'র সাউথ এশিয়া বিভাগের উপ মহাপরিচালক সাকুডু শুনসুকে, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তুমোহিদেসহ জাইকা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ।