নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জে ‘বসন্তপুর নদী বন্দর’ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর বসন্তপুর নদী বন্দর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বসন্তপুর নদী বন্দর কালীগঞ্জ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী। বৃটিশদের চলে যাওয়ার পর দেশের দক্ষিণের জনপদ কালিগঞ্জের বসন্তপুরে চালু হয় নৌ বন্দর এবং কার্যক্রম। কাকশিয়ালী, কালিন্দী আর ইছামতির মোহনায় পালতোলা নৌকা আর জাহাজের উপস্থিতি পণ্যের পরসা সাজিয়ে নাজিমগঞ্জ হিঙ্গলগঞ্জ রুটে ছিল প্রাণের সঞ্চার। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বসন্তপুর নদী দিয়ে ভারতে গিয়ে নিজেদের সংগঠিত করতেন। বসন্তপুর নৌ বন্দরের মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এবং বাজার সবই ভাল চলছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে আর তখনই বন্ধ হয়ে যায় এ অঞ্চলের অর্থনীতির সুতিকাগার খ্যাত নৌ বন্দরটি। বন্দরটি পুনরায় চালু হলে অতীতের সেই প্রাণচাঞ্চল্য বন্দর অর্থনীতির সুবাসিত অবয়ব সৃষ্টি করবে, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে, সুদৃঢ় হবে অর্থনীতি, শত সহস্র মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কেবল কালিগঞ্জের অর্থনীতিই নয়, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে সুবাতাস বইবে।