logo
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২৪ ০৮:৫৬
শুরু হয়েছে কমপ্লিট শাটডাউন : রায়ের বাগে আটকে গেছে গণ পরিবহন
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুরু হয়েছে কমপ্লিট শাটডাউন : রায়ের বাগে আটকে গেছে গণ পরিবহন

কোটা আন্দােলন বিরোধী শিক্ষার্থীদের ডাকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী কমপ্লিট শাট ডাউন কর্মসূচি। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে। রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় আটকে গেছে বাস। 

সরজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর শনির আখড়া, কাজলা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে অনেক মানুষকে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। রায়েরবাগের কদমতলী এলাকায় সকাল সাড়ে আটটার দিকে যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না।

দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রীবাহী বাস নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত আসতে পেরেছে। সেখানে ব্যারিকেড থাকায় বাসগুলো আটকে গেছে। বাস থেকে নেমে অসংখ্য যাত্রী মালপত্র নিয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্য যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, তাঁরা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোনো পরিবহন না পেয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। অনেক পোশাকশ্রমিককেও হেঁটে যেতে দেখা গেছে।

গতকাল বুধবার ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র বিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রাতে শনির আখড়ার কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ২০টি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ছড়িয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে শনির আখড়ার কাজলা থেকে রায়েরবাগ হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছিলেন। অপরদিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরপর আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।


পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের মুখে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল বন্ধের ঘোষণা ও পুলিশের তৎপরতার মুখে অনেক শিক্ষার্থী সন্ধ্যা নাগাদ ক্যাম্পাস ছেড়ে যান।

‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ আজ কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) পালন করবেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।