খুব কম লোকই আছে যাদের ঘামে গন্ধ হয় না। এটি এমন একটি সমস্যা যা কাউকে বলে বোঝানো যায় না। গাড়িতে কিংবা অফিসে ঘামের গন্ধে পাশের লোকটি বিরক্ত হ'ন।
এই ঘামের গন্ধ থেকে সহজেই মুক্তি পাওযা যায় শুধু ফিটকিরি ব্যবহার করে। হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিনকেয়ার ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী তেমনটাই জানালেন।
তিনি জানান
রোজ গোসলের পর খানিকটা ফিটকিরি ভিজিয়ে বগলে হালকাভাবে ঘষে নিতে হবে। এভাবে ডিওডোর্যান্ট–জাতীয় রাসায়নিক উপকরণের ব্যবহার ছাড়াই ঘামের দুর্গন্ধ এড়ানো যায়। নিয়মিত ব্যবহারে বগলের কালো দাগও চলে যায়। বগল ছাড়াও শরীরের যেসব অংশে ঘাম বেশি হয়, সেসব জায়গাতেও একইভাবে ফিটকিরি ব্যবহার করা যায়। ইচ্ছা করলে এরপর শরীরে ট্যালকম পাউডার লাগানো যেতে পারে। তবে ফিটকিরি ব্যবহারের পর পাউডার না লাগালেও ক্ষতি নেই, দুর্গন্ধ হবে না। ডিওডোর্যান্টের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ত্বকে কালচে ছোপ দেখা দিতে পারে। কারও কারও ত্বকে কিছু গোটাও হতে পারে। ফিটকিরি ব্যবহারে এসবের ঝুঁকি নেই। রোজ ব্যবহার করলেও ত্বকে এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।
গোসলের সময় পানিতে খানিকটা ফিটকিরি মিশিয়ে নিতে পারেন। এক বালতি পানির জন্য দুই-তিন টেবিল চামচ ফিটকিরি প্রয়োজন হয়।
চাইলে ফিটকিরির পরিবর্তে গোসলের পানিতে বেকিং সোডাও মেশানো যায়। এ ক্ষেত্রে এক বালতি পানিতে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা যোগ করতে হবে। বেকিং সোডা দ্রুত কাজ করে। তবে এটির কার্যকারিতা কম সময় থাকে।
দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণের আরও কিছু উপায়
রোজ গোসলের সময় অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
ঘেমে গেলে দ্রুত ঘাম মুছে ফেলা উচিত। ভেজা তোয়ালে বা রুমাল দিয়ে ঘাম মুছে নেওয়া যেতে পারে। সম্ভব হলে ঘামে ভেজা কাপড় বদলে ফেলা ভালো।
এক কাপ ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে দুই চা–চামচ ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিতে পারেন। বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে এই কৌটা রাখতে পারেন, প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যাবে।
ভেজা মোজা থেকেও প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হয়। তাই রোজ এক জোড়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। পা শুষ্ক রাখুন। পা ভেজানো হলে ভালোভাবে মুছে শুকনা করে নিয়ে এরপর মোজা পরুন।