logo
আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৫০
কাব্য নাটক : মুক্তির মিছিল
জাহিদুল কবির রিটন

কাব্য নাটক : মুক্তির মিছিল

কুশীলব :
পলাশ
শিমুল
লাল মিয়া
তুতু
আছাদুল্লাহ
শিবলি
হেলাল
 
 
সুরুজ্জামান
আব্দুল্লাহ
বাবুল
মানিক
কোরাস কণ্ঠ দেবার জন্যে কয়েকজন
 
 
প্রথম অঙ্ক
দৃশ্য ১. মঞ্চে আবছা অন্ধকার থাকবে।
কোরাস কণ্ঠে :
এই আঁধার আজকের নয় অনাদি কাল থেকে
এই আঁধার আজকের নয় আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ থেকে
এই আঁধার আজকের নয় ধর্মের বর্মের সময় থেকে
এই আঁধার আজকের নয় আইনের নামে জুলুম থেকে
দিন যায় কাল যায় হারিয়ে যায় নদী
নাগেশ্বরী সোমেশ্বরী আর ফুলেশ্বরী
অন্তরের পরতে আঁধার থাকে গুপ্ত নিরবধি
জলের ভেতরে কুমীর থাকে 
জঙ্গলায় থাকে সাপ
রক্তের ধারায় বজ্জাত থাকে
মুখ-মুখোসের বসবাস
বড় গাছ ছোট হয় ডাল-পালা ভেঙে ভেঙে
ছোট গাছ বড় হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে
লোভের বিষ হিংসার আগুন 
মিলেমিশে একাকার স্বার্থের পরমুখ
সদাই খুঁজতে থাকে 
কি করি কি করি 
পাই যদি মওকা
ডাংগুলি ডংগুলি
অপেক্ষায় থাকে শকুন দিন-মাস-বছর
যুগ পার হয়ে যায় সাথে অভিনয়ের দোসর
তবুও থামে না হিংসার শয়তানি মত্ত
শ্বাপদ ছায়া ধাপ পার করে হয়ে ঘর্মাক্ত
কন্যা-জায়া-জননী হুশিয়ার হুশিয়ার
লোভের তীর সুযোগ খুঁজেছে সাবধান সাবধান!
 
দৃশ্য ২. মঞ্চে আবছা অন্ধকার থাকবে। তুতুর প্রবেশ। এদিক-ওদিক তাকাবে কেউ আছে কিনা দেখার জন্যে। কেউ নেই দেখে খুশি হবে।
তুতু : [সামনের দিকে তাকিয়ে] চুপ! চুপ! চুপ!
কেউ যেন না বুঝে
আমার মনের কথা,
জাল ফেলতেছি সংগোপনে
আটকা পড়বো আচমকাতে
বোঝার আগেই তোলে নেব
বহু দিনের সাধ!
 
চুপ! চুপ! চুপ!
কেউ যেন না বুঝে
আমার মনের কথা,
খাপ ধরে বসে আছি
আমি একা একা
পুত্র সন্তান নাই যার
তার নাই সহায়
পুত্র নাই মানে হইলো
বংশের নাই বাতি,
যার নাই বাতি, তার নাই লাঠি
হাহাকার করা ছাড়া
তার কোন গতি নাই
নাই নাই নাই তার কিছুই নাই
আমার আছে বাত্তি!
 
বুঝি আমি খুব বুঝি
কার কি আশা
না, আমি একা নই
সাথে পাবো কতকজনা
হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া
খরচাপাতি কিছু হবে 
খালি কথায় চিড়া ভিজে
কভু নাহি কভু নাহি
ইহা আমি ভালো জানি!
 
চুপ! চুপ! চুপ!
কেউ যেন না বুঝে
আমার মনের কথা,
বসছি না গো দখল নিছি
ছাড়বো নাকো হেথা
আরো নেবো, আরো নেবো
বাকি যাহা আছে!
চুপ! চুপ! চুপ!
কেউ যেন না বুঝে
আমার মনের কথা!
[প্রস্থান]