logo
আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫১
কাব‍্য নাটক : মুক্তির মিছিল (ধারাবাহিক)
নাট‍্যকার : জাহিদুল কবির রিটন

কাব‍্য নাটক : মুক্তির মিছিল (ধারাবাহিক)

(পূর্ব প্রকাশিতের পর-সপ্তম কিস্তি )
 
                দ্বিতীয় অঙ্ক
                   দৃশ‍্য-৩
 
[ মঞ্চে কালো কাপড় ও মুখোশ পরা কয়েকজন প্রবেশ করবে।
তারা অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতীক হিসাবে প্রকাশ ঘটাবে। তারা প্রস্থান করবে।
মঞ্চে আছাদুল্লাহ, তুতু, শিবলি, সুরুজ্জামান, বাবুল, মানিক প্রবেশ করবে। তারা মঞ্চে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে শলা-পরামর্শ করতে থাকবে। তাদের ভঙ্গিতে দুষ্টতার প্রকাশ ঘটবে।
নেপথ্যে কোরাস কন্ঠে : 
        `অঘাট ঘাট হলে বিপদের অন্ত নেই
যখন যাকে পায় আছাড় খাওয়ায়
নিরন্তর এ অবস্থার ব্যত্যয় ঘটে না
ফল্গুধারার মতো বয়,
দুষ্টের সংঘে মাত্র ক’জন
নগণ্য হলেও সদা চঞ্চল
স্বার্থের বন্ধনে দৃঢ় ঐক্য
জুলুমের বণ্টনে পাকাপুক্ত,
বোবা মানুষ বেড়েই চলেছে
মেনে নেয়ার সংস্কৃতি প্রসারিত হচ্ছে
সাহসীরা যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
অপশক্তির আস্ফালন তাই প্রবল
চিরন্তন সেই বাণী আজ দিব্যলোক-
‘প্রতিবাদহীন শক্তির অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে’।
 
গুপ্ত পরামর্শ শেষে শিবলি, বাবুল, সুরুজ্জান ও মানিকের প্রস্থান।
আছাদুল্লাহকে তুতু কিছু বোঝাবার চেষ্টারত।
আছাদুল্লাহ তুতুকে নেতিবাচক ভঙ্গি করতে থাকবে।
তুতু নাছোড়।
আছাদুল্লাহ তুতুর কানে কানে কিছু বলবে।
তুতু মনোক্ষুণ্ণ এবং নাছোড়।]
আছাদুল্লাহ : [বিরক্ত কণ্ঠে ]
দোকান আপনার চাই-ই চাই
দোকান পাবার উপায়ও নাই
সাফ কাউলা দলিল দিছি
তিন ভাই দস্তখত করেছি,
এই পথ বাদ দেন
অন্য কোন উপায় দেখেন
হাত পাতেন তাদের কাছে
যাদের কিছু করার আছে
সব কিছুতেই গণ্ডগোল
আমার জন্যেও অমঙ্গল।
তুতু : এইটা কোন কথা হলো
জোর থাকতে ভিক্ষা কেন
দলিল নিয়া কবরে যাক্
দখল আমার বজায় থাক্!
[আছাদুল্লাহ তুতুর পিঠে সাবাশের চাপড় দিয়ে প্রস্থান করবে।]
তুতু : যার নাই বাতি, তার নাই লাঠি
হাহাকার করা ছাড়া
তার কোন গতি নাই
নাই নাই নাই তার কিছুই নাই
আমার আছে বাত্তি!
[তুতুর প্রস্থান]
বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের আলখাল্লা পরে কয়েকজনের মঞ্চে প্রবেশ।
তারা আনন্দ উৎসব প্রকাশ করবে।
[প্রস্থান]
[পলাশ ও শিমুল মঞ্চে প্রবেশ করবে।
পলাশের চোখে-মুখে লাজুকতা। শিমুলের আনন্দের উচ্ছ্বাস।]
[আছাদুল্লাহ্, তুতু, শিবলি, আবদুল্লাহ, মানিক, লাল মিয়ার প্রবেশ। তাদের আচরণে বিবাহের আয়োজনের ব্যস্ততা।
শিবলি খুব তৎপর ও ব্যস্ত।
তুতু মাঝে মাঝে চিন্তামগ্ন।]
[পলাশ ও শিমুলের প্রস্থান।]
 
নেপথ্যে কোরাস কণ্ঠে  :                                                                                                                                             সময়ের পরিক্রমায় ঘটে চলে ঘটনা
হিসাবের খাতায় যা কখানো মেলে, কখনো মেলে না
নেপথ্যে থেকে যিনি ঘটান সব ঘটনা
তিনিই জানেন এই বর্তমানের কেন অবতারণা
পলাশের বিয়েকে উপলক্ষ্য করে
ঘটেছে এক মিলন মেলা,
কাকতালীয়ভাবে এতে জড়িয়েছে একজন 
তার ভূমিকাতেই অন্যদের আগমন
শুভ কামনার আর্শীবাদের ভেতর বিবেকহীন লোভ
হাতড়াতে থাকে ছদ্মবেশধারীর মুখোশের ভেতর
মনের আঁধার জমতে জমতে অঙ্গার হয়ে উঠে
হতাশা এসে ভীড় করে আশার আঙিনাতে
এবার বুঝি গোটাতে হবে এতো দিনের মেহনত
আচমকা সব ভেস্তে যেয়ে হয়ে গেল পণ্ডশ্রম
ঘাপটি মেরে আড়াল রাখে বিষধর ভাব
  বাহিরে মিলেমিশে একাকার আন্তরিকতার ছাপ।
[সকলের প্রস্তান]