২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদফতর। পর্যায়ক্রমে আরও সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) তথ্য অধিদফতরের প্রধান কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীরের সই করা অফিস আদেশে ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে মো. নিজামূল কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে—যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের (জুলাই-আগস্ট আন্দোলন) বিরোধিতা করেছেন। পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের বিরোধিতাকারী এবং যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, আরও বেশ কিছু অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হবে।
সোমবারের (২৮ অক্টোবর) অফিস আদেশে বলা হয়, ‘প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২-এর অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬-এর আলোকে নিম্নবর্ণিত সাংবাদিক বা ব্যক্তিবর্গের অনুকূলে তথ্য অধিদফতর কর্তৃক ইতোপূর্বে ইস্যুকৃত স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।’
যেসব সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন—প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রূপা, ওমেনআই২৪.কম-এর সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এবিনিউজ২৪.কম-এর প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর।
এছাড়া রয়েছেন এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডককম-এর প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (দোলন), বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।