বৈদ্যুতিক যান (ইভি) শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতি সহায়তা, গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযুক্তি অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্প : নীতি- চ্যালেঞ্জ- সম্ভাবনা শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নতির বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইভির ব্যবহার রয়েছে। নরওয়ে এবং সুইডেনে প্রায় ৮০ শতাংশ গাড়ি ইভি এবং চীনে ২৫ শতাংশ। সুতরাং এ শিল্পের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশে ইভি শিল্পের বিকাশের জন্য আমাদের প্রচুর গবেষণা এবং সক্ষমতা তৈরির পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজন। চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরও পরামর্শের দরকার।
সচিব আরও জানান, সমস্যা সমাধানে তিনি এনবিআর ও শুল্ক বিভাগসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে শিল্পটি নিয়ে কথা বলবেন।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মোবিলিটি অ্যাসোসিয়েশনের (বেমা) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বামা) সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, আকিজ গ্রুপের পরিচালক ও আকিজ মোটরসের সিইও এসকে আমিনুদ্দিন, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমইউএন, কানাডা) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক মো. এহসান, এনসেক লিমিটেডের চেয়ারপারসন তাহসিন আমান, সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইজুল আলম প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে ১৫টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৮০টিরও বেশি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীটি ৭ থেকে ৯ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
=