অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মোহাম্মদ কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনে আহত কাজল মিঞাকে বিদায় জানান।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিক বৃন্দদের সাথে মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠাতে শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্যই ৬৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা চিকিৎসা বাবদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। বাকি আরও লাগলে আমরা দেখে-বুঝে পাঠাবো।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, আরও একজন অপেক্ষা করছে যাওয়ার জন্য। তিনি নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাল অথবা পরশু আমরা তাকে পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পেরেছি। এছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হবে। এদের মধ্যে তিন জন চোখে আঘাতপ্রাপ্ত এবং চার জন অর্থপেডিকসের রোগী। তুরস্ক সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তাররা এসে আহতদের চিকিৎসায় সেবা দিয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ইতোমধ্যে ফ্রান্স, নেপাল, ইউকেসহ বিভিন্ন দেশ থকে ডাক্তাররা এসে চিকিৎসা দিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকরা আহতদের যে চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়েছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সম্পতি যুক্তরাজ্য থেকে আসা ডাক্তাররা ৯৩ জন আহতকে দেখেছেন এবং ১৮ জন আহতের অপারেশন করেছেন।
এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।