logo
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:১৫
এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সায়রা বানু
নিজস্ব প্রতিবেদক

এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সায়রা বানু

বিচ্ছেদ মানে কি শুধুই তিক্ততা? এ আর রহমানের সাবেক স্ত্রী সায়রা বানু তেমন মনে করেন না। নানা গুঞ্জন ছড়াতেই মুখ খুললেন তিনি।

এ আর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছর সংসার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই কঠিন সময়ে যে হাজারো গুঞ্জন আরও বিচলিত করবে। এমন পরিস্থিতিতে ডিভোর্স ঘোষণার পাঁচ দিন পর মুখ খুললেন সায়রা বানু।
বুধবার হঠাৎ করেই সামাজিকমাধ্যমে ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের সহশিল্পী মোহিনী দেও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা জল্পনা ছড়াতে থাকে।

গুঞ্জন রটেছে, রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্সের নেপথ্যে নাকি পরকীয়া! এমন সময়ে কেন ২৯ বছরের দাম্পত্য ভাঙলেন সে বিষয়ে কথা বলেছেন সায়রাবানু।

রোববার (২৪ নভেম্বর) এক ভয়েস নোট প্রকাশ্যে আনেন সায়রা বানু। সেখানে বলা হয়, নমস্কার আমি সায়রা রহমান। আমি গেল কয়েক মাস ধরেই মুম্বাইয়ে রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ইউটিউবার এবং সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, রহমানের নামে কোনও খারাপ কথা বলবেন না।  

এ আর রহমানের প্রশংসা করে সায়রা বানু বলেন, ও (এ আর রহমার) দারুণ একজন মানুষ। আমার দেখা সেরা মানুষ। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথায় গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হত না।

এরপরই সায়রাবানুর সংযোজন করেন, আমি আর রহমান এখনও একে-অপরকে ভালোবাসি। আর এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একশো শতাংশ মিউচুয়াল। খুব ভালো মানুষ ও। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই।

সবশেষ সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে সায়বা বানু বলেন, সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন। আমরা তো অফিশিয়ালি কারণ নিয়ে কিছু বলিনি এখনও। তাই এর আর রহমানের নামে কুৎসা রটাবেন না।

১৯৯৫ সালে এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়। দেখাশোনা করেই নাকি বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়েছে।