ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। গাজার পরে এখন পশ্চিম তীরেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই সংঘাতের সর্বশেষ খবর।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান
গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নেপাল সফরে থাকা গুতেরেস আজ রোববার এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাজায় চলমান রক্তপাত বন্ধ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, গাজার আল-কুদস হাসপাতাল দ্রুত খালি করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সতর্ক করে বলেছে, সেখানে বোমা ফেলা হতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় আজ রোববার গাজায় ৮ হাজার ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ হাজার ২৪২ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ হাজার ৩২৪ শিশু, ২ হাজার ৬২ জন নারী ও ৪৬০ জন প্রবীণ। আজ রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
দখলকৃত পশ্চিম তীরে গত রাতে অভিযান চালিয়ে অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ নিয়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ১১৪ জন নিহত হলেন।
গাজার মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর আগে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে গাজাবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে দায়ী করে এক্সে (টুইটারে) করা মন্তব্য মুছে ফেলেছেন ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি এ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
সহায়তা পাঠানোর আহ্বান
গাজায় জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাঁরা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন বলে জানিয়েছেন ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র।