Main Logo
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২৮

অসুস্থতার অজুহাত আর নদী সাঁতরে ইউক্রেন থেকে কেন পালাচ্ছে পুরুষরা

অনলাইন ডেস্ক
অসুস্থতার অজুহাত আর নদী সাঁতরে ইউক্রেন থেকে কেন পালাচ্ছে পুরুষরা
এরিক, ২৬ বছর বয়সী এই গায়ক নদী সাঁতরে পার হয়ে মলদোভায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।

যুদ্ধে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া এড়াতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ২০ হাজার পুরুষ দেশটি থেকে পালিয়েছে। এমন তথ্য জানতে পেরেছে বিবিসি।

এদের মধ্যে কেউ কেউ দেশ ত্যাগ করতে গিয়ে বিপজ্জনক নদী সাঁতরে পার হয়েছে। অনেকে আবার রাতের আঁধারে হেটেই সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

কিয়েভ জানিয়েছে, আরো একুশ হাজার ১১৩ জন পালানোর চেষ্টা করার সময় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছে।

রাশিয়ার আক্রমণের পর ১৮-৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কিন্তু বিবিসির হাতে যে তথ্য এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন কয়েক ডজন করে পুরুষ ইউক্রেন ছেড়েছে।

বিদেশে পরিবারের সাথে মিলিত হতে, পড়াশুনা করতে কিংবা কাজের খোঁজে ইউক্রেন ছেড়েছে এমন বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বলেছে বিবিসি।

“আমি আসলে কী করতাম(ইউক্রেনে)?” ইয়েভগেনি নামে একজন বলেন। “সবাই যোদ্ধা নয়... পুরো দেশকে আটকে রাখার কিছু নেই। আপনি সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো সবাইকে একসাথে হাতের মুঠোয় দলা পাকিয়ে রাখতে পারেন না।”

ইউক্রেনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র রোমানিয়া, মলদোভা, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সীমান্ত পারাপারের তথ্য সংগ্রহ করে বিবিসি দেখতে পেয়েছে যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৪০ জন পুরুষ অবৈধভাবে এসব দেশে প্রবেশ করেছে।

আমরা অবশ্য জানি না যে, এসব পুরুষরা কীভাবে পালিয়েছে। আমরা এটাও জানি না যে, আরো ২১ হাজার ১১৩ জন পুরুষ কীভাবে পালানোর চেষ্টা করে ধরা পড়েছিল।

ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগ পুরুষ অর্থ্যাৎ প্রায় ১৪ হাজার ৩১৩ জন সাঁতরে কিংবা হেঁটে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করেছে। বাকি ছয় হাজার ৮০০ জন অসুস্থতার বাহানায় ভূঁয়া নথি তৈরি করে সীমান্ত পারের চেষ্টা করেছে।

সামরিক বাহিনীতে যাদেরকে বাধ্যতামূলক নিয়োগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, দেখাশুনা করার মতো দায়িত্ব রয়েছে এবং তিন বা তার থেকে বেশি সন্তানের পিতা যারা।

গত অগাস্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির সামরিক বাহিনীর মেডিকেল কমিশনের “দুর্নীতির সিদ্ধান্তের” সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের কারণে, চিকিৎসা জনিত কারণ দেখিয়ে সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। তিনি সামরিক বাহিনীতে নিয়োগদানের দায়িত্বে থাকা সব আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে অন্তত ৩০ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

উপরে