হোয়াইট হাউসে বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভালে অফিসে পৌঁছান।
এদিন স্থানীয় সময় সকালে ফ্লোরিডার বাসভবন থেকে গাড়িবহর নিয়ে বের হতে দেখা যায়। এরপর তিনি বিমানে করে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা দেন। ওভাল অফিসে যাওয়ার আগে কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।
গত জুনে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পর এই প্রথম বাইডেন ও ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হলো। সেই বিতর্কের পর চাপের মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাইডেন। খবর বিবিসি
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকান জাতি ও বিশ্ব যেসব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলো নিয়ে উভয় নেতা আলোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালো আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা থেকে বেরোনোর পর ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে আমাদের বর্তমান অবস্থান কী সে সম্পর্কে আমি তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম এবং তিনি তা আমাকে জানিয়েছেন, তিনি খুব উদারভাবেই কথা বলেছেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। আর এর আগে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বুধবার(১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও ট্রাম্প।
এরপর মাহফুজ আরেক ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে দ্বিতীয় ব্যক্তির দিকে হাত এগিয়ে দিলে ওই ব্যক্তি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে মাহফুজের হাতে দেন। ওই ব্যক্তি টাকা দিতে দিতে বলেন, আমি না পারতে এ পর্যন্ত আসলাম। বিশ্বাস করেন। আমি আরেকদিন এসে ডিটেইলস বলব, তখন বুঝবেন। না হলে আমি আপনার কাছে আসতাম না। যদি অফিসিয়ালি সলিউশন করতে পারতাম। এসময় প্রথম ব্যক্তি বলেন, টাকা গইন্নেন না, গইন্নেন না।
তখন মাহফুজ বলেন, টাকা গুনে নেওয়া সুন্নত। প্রথম ব্যক্তি বলেন, রুম অন্ধকার, আল্লাহ কইছে মাইনসেরে দেহাই কিল্লাই।
এসময় মাহফুজ মুচকি হাসতে হাসতে টাকা গুনছেন কয়েকবার। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলছেন, চা খাবেন? মাহফুজ জবাব দেন, পরে খাব। এ কথা বলে টাকা হাতের মুঠে নিয়ে বের হয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের নামে থানায় অভিযোগ দিতে আসেন হাজীগঞ্জ থানার কংগাইশ গ্রামের এক বাসিন্দা। অভিযোগ দিতে এসে এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের প্রথম কিস্তি। তারপর স্ত্রীসহ ছেলে তার বাবার কাছে ক্ষমা চাইলে পরিবারিক সমস্যা মিটে যায়। তবুও এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তি। আর সেই কিস্তি নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’।
এর আগে ফরিদগঞ্জ থানায় কর্মরত অবস্থা স্থানীয় অনেককে রাজনৈতিক মামলায় ফেলে ঘুষ বাণিজ্য করেন মাহফুজুর রহমান। কিন্তু ওই থানা থেকে হাজীগঞ্জে এসেও পুরোনো স্বভাব পরিবর্তন করেননি তিনি।