আপডেট : ৬ মে, ২০২০ ১১:৩১
চাঁদ ডুবে গেলে
মোস্তাক শরীফ
চাঁদ ডুবে গেলে তরল আঁধারে মেঘ ভেসে গেলে একা
ছায়াপ্রান্তরে আজ হবে জানি নিজের সঙ্গে দেখা;
আবহমানের বিস্মরণের ঘোর কেটে গেলে শেষে
আজকে আমার পতাকা ওড়াবো অসম্ভবের দেশে-
চাঁদ ডুবে গেলে তরল আঁধারে ফুল ঝরে গেলে একা
নির্জন এক ছায়াপথে হবে নিজের সঙ্গে দেখা;
কুহেলী কোমল কবিতার মতো বৃষ্টি ঝরলে বনে -
আজকে নিজের মুখোমুখি হবো নিরালায় নির্জনে;
বহুদূরে এক পাহাড়চূড়ায় ক্ষয়াটে চাঁদের আলো
আমাকে বলবে, এখানে আঁধার - এখানে আগুন জ্বালো,
দিগন্ত থেকে ফেরারী হাওয়ার গান ভেসে এলে তবে
ফুলকির মতো নিজেকে হারাবো আগুনের উৎসবে।
একটি পাখির ভালোবাসা নিয়ে আকাশে মেলব ডানা
সামনে আমার কতো পথ তবু কোনো পথ নেই জানা,
অপরিচয়ের চিহ্ন নিয়ে সে পাখি চলে যাবে উড়ে
চাঁদ ডুবে গেলে তরল আঁধারে মেঘ ভেসে গেলে দূরে...
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে চেয়রম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লিখছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।