আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০৮:১০
এ আর রহমানকে নিয়ে যা বললেন সাংবাদিক মোল্লা জালাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
কারার ঐ লৌহ কপাট শুধু মাত্র একটি গান নয়, এটি বাঙ্গালী জাতির চেতনার বহি: প্রকাশ।এই গানের বানী, সুর ও গায়কীতে কোন ধরনের পরিবর্তন বা বিকৃতি দন্ডযোগ্য অপরাধ। নজরুল সেই যুগে যা লিখেছেন কিয়ামতের আগেও কোন বাঙ্গালী বা ভারতীয়ের পক্ষে তা আর লেখা সম্ভব নয়। আমার বিবেচনায় এ আর রহমান একজন ভিউ শিকারি।সস্তাগানের কম্পোজার। তার পক্ষে কারার ঐ লৌহ কপাট গানের একটি শব্দও অনুভব করা সম্ভব নয়।এই গানের বানী সুর ও অন্ত:নিহিতভাব এ আর রহমান সাত জনমেও বুঝবেনা।বুঝলে এই ফাজলামিটা করতো না। নজরুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার মর্যাদা রক্ষা করা জাতির অন্যতম দায়িত্ব। আমাদের একটি শিল্পকলা একাডেমি আছে যার প্রধান একজন সর্বজন বিদিত.......। তার পক্ষে ভালকিছু করা সম্ভব নয়। আরেকটা আছে নজরুল ইনস্টিটিউট। ওখানে একজন জলন্ত প্রতিভাবান ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে আছেন। তার কোন ক্রিয়েশন নেই। আরো আছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর কাজ নজরুলের সৃষ্টি সংরক্ষণ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া।এসব প্রতিষ্ঠানের পিছনে সরকার প্রতি বছর কাড়িকাড়ি টাকা ব্যয় করছে। অথচ এ ব্যাপারে এদের সকলের মুখে কুলুপ। মনে হয় তারা যেন কেউ কিছু দেখেনি বা শুনেনি। সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের কথা না-ই বা বললাম। তবে শিক্ষিত সচেতন বাঙ্গালির উচিৎ এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করা ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোলকাতায় শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহন করা ছাড়াও কোলকাতায় তাঁর রাজনীতির হাতে খড়ি । সে সময় তিনি নজরুলের সান্নিধ্য পেয়ে শানিত হয়েছিলেন। যার ফলে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি অন্য কিছু নয়।শুধু মাত্র এই অমূল্য সম্পদ নজরুলকে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছেন।
আপনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে আপনার দায়িত্ব জাতির এই মর্যাদাকে সমুন্নত রাখা। ক্রিকেট বোর্ড ও বাবুফেসহ জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের জায়গাগুলো ঢেলে সাজানো দরকার। তাতে আপনার ইমেজ ও ভোট দু'টোই বাড়বে।