Main Logo
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২৪ ১০:১৩

ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল অভিশ্রুতি পরিচয়ের সাংবাদিক মুসলিম পরিবারের সন্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল অভিশ্রুতি পরিচয়ের সাংবাদিক 
মুসলিম পরিবারের সন্তান

শেষ পর্যন্ত জট খুলল রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী  ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয়ের। তিনি হিন্দু নয় মুসলিম পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন বলে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) পরীক্ষায় বেড়িয়ে এসেছে।  ঘটনার ১০ দিন পর তার পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহতের বাবা শাবলুল আলম সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুন।  

রোববার (১০ মার্চ) রাতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুনের বাবা-মা দাবিদার সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি নিহত নারীর মরদেহ থেকেও ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। তা সিআইডি ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুন।  

ডিআইজি নাহিদুল বলেন, ওই ডিএনএ প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করে থানায় পাঠানো হবে। মরদেহ বাবা-মা দাবিদারের কাছে হস্তান্তরের জন্য বলা হবে।  

এদিকে মেয়ের পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে জানতে বৃষ্টির বাবা দাবিদার সবুজ শেখ বলেন, ডিএনএ’র বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি তাদের কিছু জানানো হয়নি।  

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন এ বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু, সহকর্মী ও ফেসবুকে অভিশ্রুত শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।  

মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে নিজেদের ধর্মালম্বী দাবি করেন। অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।  

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে বন্ধু ও সহকর্মীরা জানতেন তার নাম অভিশ্রুতি। মৃত্যুর পর এ নাম নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রয়েছে।  

উপরে