ডিআইজি মিজান সাসপেন্ড
ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরেদ্ধ তদন্ত চলছিল। সেই তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আগেই ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে শাস্তিমূলকভাবে মিজানকে সরিয়ে ওএসডি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ঘুষ দেওয়া ও নেওয়ার বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর ডিএমপি মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত কমিটি করে। ওই প্রতিবেদন যদিও আলোর মুখ দেখেনি।
জানা যায়, ‘নিজ নামে তেমন কোনো সম্পদ করেননি ডিআইজি মিজান; কিনেছেন নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের নামে। শিক্ষানবিস এসআই ভাগ্নের নামে সেগুনবাগিচায় নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারে ১ হাজার ৯১৯ বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটে কনেন, যার দাম দেখানো হয়েছে ৫৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। অথচ ওই ফ্ল্যাটের দাম ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ওই ফ্ল্যাটটি মাসে লাখ টাকা ভাড়ায় একজন ব্যবসায়ী “কিসমত রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার” পরিচালনা করছেন। মিজান খুব চতুর। তাকে বাগে আনা কঠিন ছিল। ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসায় তাকে ধরা সহজ হচ্ছে। চলতি মাসেই তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করতে পারে দুদক। দুদক নতুন করে কিছু নথিপত্র তলব করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।’
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন : গত রবিবার সন্ধ্যায় ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অর্থ) শাহাবুদ্দিন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেনকে। এর আগের দুটি কমিটির সদস্যও ছিলেন তারা।