সেই হলি আর্টিসান রেস্তোরা এখন বাস ভবন
রাজধানীর গুলশানের সেই হলি আর্টিসান রোস্তারাটি এখন আর নেই। সেটিকে এখন বাস ভবন হিসেবে ব্যবহার করছেন তার মালিক।
গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের শেষ মাথায় লেকের পাড়ে অবস্থান হলি আর্টিজান নামের বেকারীটির। যেটিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন জাপান, ইতালী, ভারত ও বাংলাদেশের ২০ জন নাগরিক। সেনা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছিল ৫ জঙ্গিও। ওই সময় তছনছ হয়ে গিয়েছিল বেকারীটি। অভিযানের সময় সেনা বাহিনীকে ভাঙ্গতে হয়েছিল দেয়ালও।
আগামী কাল ১ জুলাই সেই ভয়াল দিন। যেদিন রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন। সেই হলি আর্টিসান
আজ রবিবার হলি আর্টিসানের সামনে গিয়ে দেখা গেছে সেই বাড়িটি আবারো সাজানো গোছানো। জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় যে দেয়াল গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। সামনে লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ। তবে সেই বাড়িতে এখন আর হলি আর্টিজান নামের বেকারীটি নেই। এখন এটি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দেখা গেছে হলি আর্টিজানের সামনে সুনসান নিরবতা। পাশের লেক ভিউ ক্লিনিকে দু’একজন লোক আসা যাওয়া করছেন। আর হলি আর্টিজানের গেটটি বন্ধ। ক্লিনিকের এক স্টাফ কালের কণ্ঠকে জানায়, বাড়ির ভেতর প্রবেশ করা নিষেধ। ১ জুলাই হলি আর্টিজানের হামলার দিনটিতে বাড়ির মালিক বাড়িটি উš§ুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে ভবনের মালিক শাহাদত মেহেদী ভবনটিতে মাঝে মাঝে থাকেন বলে জানা গেছে। তিনি হলি আর্টিজান নামের একটি বেকারী করেছেন গুলশান-২ এলাকায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মাহবুব জানান, বাড়িটি অনেক আগেই মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ জুলাই ভোরের দিকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এসে হলি আর্টিজান পরিদর্শন করেন। তারা সেখানে নিহতদের আÍার শান্তি কামনা করেন। অন্যান্য বারের মতো এবারও সকালের দিকে বিদেশী লোকজন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেভাবেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে পুলিশ। গুলশান থানা পুলিশ জানায়, হলি আর্টিজান হামলার দিনে বিদেশীদের নিরাপত্তা দিতে আগে থেকেই পুলিশের প্রস্তুতি থাকে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩ টায় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাড়িটি পরিদর্শন করেন বলে গুলশান থানা পুলিশ জানায়। এ সময় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করা ওই ঘটনায় জঙ্গিরা ১ জুলাই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে। যাদের ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপান, ৩ জন বাংলাদেশী এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়া সন্ত্রাসীদের এ হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫জনও প্রাণ হারায়।