রাজধানীতে আলাদা দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের এসআইসহ নিহত ৪
রাজধানীতে গতকাল মঙ্গলবার আলাদা সড়ক ও রেললাইনে দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। রাতে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল শেখ (৫০) নিহত হয়েছেন। পিকআপসহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
সন্ধ্যায় মহাখালীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মিল্টন কুমার মিত্র (৩৫)। একই সময় উত্তরার আজমপুর মেম্বার বাড়ি এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এদিকে রাত ১০টার দিকে বনানী ফ্লাইওভারে অজ্ঞাত কোনো যানবাহনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে এক যুবক। তার পরিচয়ও জানা যায়নি।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলাপট্টির সামনে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে বাবুল শেখকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পৌনে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত বাবুল শেখ কোতোয়ালী জোনে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রাতে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনায়। বর্তমানে শনির আখড়ায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাখালীতে ট্রেনের ধাক্কায় মিল্টন কুমার মিত্র মারা যান। তিনি ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি- তিনি অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। সে সময় দু’দিকে দুটি ট্রেন আসছিল ও যাচ্ছিল। সে সময় একটি ট্রেনের সঙ্গে তার মাথায় আঘাত লেগে পড়ে যান। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকায় থাকতেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হেদায়েত হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আজমপুর মেম্বার বাড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এক ব্যক্তি। তার পরনে ছিল লুঙ্গী, শার্ট। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বনানীর ফ্লাইওভারের কাকলীর দিকের অংশে অজ্ঞাত যানবহনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হন। ফ্লাইওভারের মাঝামাঝি ব্যস্ত সড়কে অনেক সময় তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়েছিল। দুপাশে চলন্ত যানবাহন। কয়েকজন লাশটার পাশে দাঁড়িয়ে যানবাহনগুলোকে সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন। পরে এসে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় যুবক কোনো যানবাহনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে ছিল সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট। পরনের পোশাকে যুবকটি ছিন্নমূল বা মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ