রাজধানীতে‘মোশারফ’ বাহিনীর মূলহোতা গ্রেপ্তার
বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ‘মোশারফ’ বাহিনীর মূলহোতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন@ লম্বু মোশারফ@ গলাকাটা মোশারফ@ গাংচিল মোশারফ ও তার ০৫ সহযোগীকে বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার পাশর্^বর্তী বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্ত নৌপথ, মার্কেট, বাস স্ট্যান্ড ও হাউজিং প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এর প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-২ এর অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে শীর্ষ সন্ত্রাসী কবির হোসেনকে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর কবিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২০১৭ সালে গাংচিল গ্রæপের প্রধান আনারের মৃত্যুর পর গাংচিল গ্রæপ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয় এবং তৎকালীন এই গ্যাং এর সেকেন্ড ইন কমান্ড শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বু মোশারফ এর নেতৃত্বে মূল একটি অংশ পরিচালিত হয়; যারা মোহাম্মদপুর, আমিনবাজার ও তার পাশর্^বর্তী এলাকাসমূহে নৌপথে চাঁদাবাজি, মার্কেট, বাস স্ট্যান্ড, হাউজিং প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-২ লম্বু মোশারফ ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গত ২৭ ফেব্রæয়ারি ২০২২ তারিখ রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদপুর ও তার পাশর্^বর্তী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী (১) মোঃ মোশারফ@ লম্বু মোশারফ@ গলাকাটা মোশারফ@ গাংচিল মোশারফ (৪৫), পিতা-মৃত কয়ছর ব্যাপারী@ কায়েসের ব্যাপারী, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ও তার ০৫ জন সহযোগী যথাক্রমে, (২) মোঃ বিল্লাল@ মোঃ বিল্লাল হোসেন@ চোরা বিল্লাল (৩০), সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ, (৩) মোঃ মোহন@ মোহন@বাইক মোহন (৩১), পিতা-আব্দুল ওদুদ হাওলাদার, ভোলা সদর, ভোলা (৪) সাহাবুদ্দিন সাবু@ সাবু@ জলদস্যু সাবু (৪৪), মোহাম্মদপুর, ঢাকা, (৫) মোঃ রুবেল@ ডাকাত রুবেল@ ট্রলার রুবেল(৩৩), পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন, চরফ্যাশন, ভোলা ও (৬) মোঃ সুমন মিয়া@ সুমন হোসেন (৩০), পিতা- মোঃ এনামুল হক, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে জব্দ করা হয় ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০১টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ, ০৩ টি বড় ছোরা, ০২টি চাপাতি, ০২টি চাকু, ০১টি চাইনিজ কুড়াল, ০১টি দা, ০১ টিফ্রেমসহ হেসকো বেøড, ০১টি গ্রীল কাটার, ০১টি কাটার প্লাস, ৪২৩ পিস ইয়াবা, ০৫ টি মোবাইল এবং নগদ অর্থ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার পাশর্^বর্তী আমিনবাজার, তুরাগ, হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ ও সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের সন্ত্রাসী দলের সদস্য সংখ্যা ২৫-৩০ জন। লম্বু মোশারফ এর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা বিভিন্ন গ্রæপে বিভক্ত হয়ে বর্ণিত এলাকা সমূহে জমি দখল, হাউজিং- এ চাঁদাবাজি, নৌপথে চাঁদাবাজি, মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করত। লম্বু মোশারফের নির্দেশে তার সহযোগীরা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে বালু ভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গো ও অন্যান্য জাহাজ আটকিয়ে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি পরিচালনা করত। এছাড়াও লম্বু মোশারফ ও তার সহযোগীরা সাভার ও তুরাগ এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকের নিকট হতে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করত। তারা মোহাম্মদপুর ও পাশর্^বর্তী এলাকাসমূহের বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় নির্মানাধীন ভবন, নতুন বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিকট জমি দখলের নামে চাঁদাবাজি করত। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে লম্বু মোশারফের বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত; চাঁদা না পেলে তার বাহিনীর সদস্যরা রাতের আধারে নিরাপত্তা কর্মীকে প্রহার করে ট্রলার/অন্যান্য বাহনযোগে নির্মাণ কাজের উপকরণাদি জোরপূর্বক নিয়ে যেত। জমি দখল, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা দেশী ও বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাত। গাংচিল বাহিনী রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে এক অজানা ভয় ও আতঙ্কের নাম ছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের এ অপরাধ কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করলে তারা বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা করে। এছাড়াও, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ^বর্তী এলাকাসমূহে আধিপত্য বজায় রাখাসহ অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে লম্বু মোশারফ গ্রæপের সদস্যরা একাধিক কিশোর গ্যাং গ্রæপ নিয়ন্ত্রণ করত। তারা অধিকাংশ সময় নদীর কাছে আস্তানা গড়ে তুলে এবং নদী পথে ডাবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ব্যবহার করে যাতায়াত করত। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র, অপহরণ, পুলিশ এ্যাসল্টসহ বিভিন্ন মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন@ লম্বু মোশারফ@ গাংচিল মোশারফ@গলাকাটা মোশারফ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় আসে। প্রথমে সে বেবি ট্যাক্সি ও সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। পরবর্তীতে সে হাউজিং প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। ২০০০ সালে রাজধানী কাফরুল থানাধীন এলাকায় ছিনতাই এর মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে, গাংচিল বাহিনীর প্রধান আনার এর মাধ্যমে সে গাংচিল বাহিনীতে প্রবেশ করে এবং পর্যায়ক্রমে সে আনার এর অন্যতম সহযোগীতে পরিণত হয়। ২০১৭ সালে আনার এর মৃত্যুর পর গাংচিল বাহিনী বিভিন্নভাগে বিভক্ত হয়। এর মধ্যে মূল অংশের নেতৃত্ব প্রদান করত তৎকালীন সেকেন্ড ইন কমান্ড গ্রেফতারকৃত লম্বু মোশারফ। উচ্চতায় লম্বা হওয়ায় সে ‘লম্বু মোশারফ’ এবং মারামারিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সময় ভূক্তভোগীকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার কারণে ‘গলাকাটা মোশারফ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। গ্রেফতারকৃত লম্বু মোশারফ তার দলের সদস্যদের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর ও তার পাশর্^বর্তী তুরাগ, আমিনবাজার, হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ভূমিদখলসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সে বিভিন্ন সময়ে মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ, কাফরুলসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকত। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, ধর্ষণ, অপহরণ, পুলিশ অ্যাসল্টসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায় এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ বিল্লাল হোসেন@ চোরা বিল্লাল ২০০৬ সালে মুন্সিগঞ্জ থেকে পরিবারের সাথে ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে সে গার্মেন্টসে চাকুরী ও বিভিন্ন গাড়ীর হেলপার হিসেবে কাজ করে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সময় লম্বু মোশারফের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং লম্বু মোশারফের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়। সে লম্বু মোশারফের নির্দেশে মোহাম্মদপুর ও পাশর্^বর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সস্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। সিধকাটা, গৃহস্থলির তালাভাংগাসহ অন্যান্য চৌর্যবৃত্তিতে পারদর্শী হওয়ার কারণে সে ‘চোরা বিল্লাল’ হিসেবে পরিচিতি পায়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায় এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
গ্রেফতারকৃত মোহন@বাইক মোহন লম্বু মোশারফের অন্যতম সহযোগী। সে ২০১০ সালে ভোলা হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকুরী, রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে মোটরবাইক চালানোর কাজ করত। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একটি রিয়েল এস্টেটে চাকুরীর সময়ে লম্বু মোশারফের দলে যোগ দেয়। চাঁদা আদায়সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার সময় লম্বু মোশারফ মোহনের বাইকে চলাচল করত বলে সে বাইক মোহন হিসেবে পরিচিত। ছিনতাই, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ০৮টির অধিক মামলায় সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
গ্রেফতারকৃত সাহাবুদ্দিন সাবু@ জলদস্যু সাবু লম্বু মোশারফের অন্যতম প্রধান সহযোগী। পূর্বে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। ২০১৭ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সময়ে লম্বু মোশারফের সাথে যোগ দেয়। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে বিভিন্ন ট্রলার, জাহাজ চলাচলের সময় এবং রুট তার নখদর্পনে থাকার কারণে সে জলদস্যু সাবু হিসেবে পরিচিতি পায়। লম্বু মোশারফের নির্দেশে সে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিভিন্ন মালবাহী নৌকা ও ট্রলারে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সাথে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে সাভার ও মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে ০৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায় এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
মোঃ রুবেল @ ডাকাত রুবেল @ ট্রলার রুবেল লম্বু মোশারফের গ্রæপের অন্যতম সদস্য। সে ২০০৬ সাল থেকে মোহাম্মদপুরের পাশর্^বর্তী এলাকায় ট্রলার/নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ২০১৮ সালে লম্বু মোশারফের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে সে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর বিভিন্ন মালবাহী নৌকা ও ট্রলারে চাঁদাবাজি/ডাকাতির সময়ে সে নৌকা বা ট্রলার চালনা করত বলে ট্রলার রুবেল হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধে সাভার ও মোহাম্মদপুর থানায় ০৩টি মামলা রয়েছে এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
মোঃ সুমন মিয়া এর জন্ম ঢাকার বাবুবাজার এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকুরী ও ডিসের লাইনে চাকুরী করত। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকুরীর সময় লম্বু মোশারফের দলে যোগ দেয়। লম্বু মোশারফ এর নির্দেশে বিভিন্ন স্থান হতে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করত বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ০২টি মামলা রয়েছে এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাবরণ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।