বিজিবিতে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বিএএম, এনডিসি, পিএসসি পিলখানায় শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল, 'একটি স্বপ্নের নাম-শেখ রাসেল' শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং শেখ রাসেলসহ ৭৫’র ১৫ই আগস্ট শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সকল সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহীদ এবং বিজিবি'র ২জন বীরশ্রেষ্ঠসহ আত্মোৎসর্গকারী ৮১৭ জন বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আজ বাঙালি জাতির জন্য একটা বিশেষ দিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের, তেমনি অত্যন্ত দুঃখেরও। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অপ্রত্যাশিতভাবে ইতিহাসের জঘন্যতম ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বাদ যায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ নির্মল শিশু শেখ রাসেলও। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নিষ্ঠুরতম ঘটনা বিরল। বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন প্রাণচঞ্চল, বন্ধুবৎসল ও নির্মল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। প্রতিটি শিশুর মাঝেই শেখ রাসেল বেঁচে আছে এবং আজীবন বেঁচে থাকবে। বিজিবি মহাপরিচালক শেখ রাসেলের শিশুসুলভ অনন্য ব্যক্তিত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষায়, বিশেষ করে শিশু পাচাররোধে বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন-ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু যেন পাচারের শিকার না হয়, বাবা-মা থেকে দূরে সরে না যায়, তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়-এটাই হবে আজকের দিনের দৃপ্ত শপথ। ভবিষ্যতে শিশুদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে বিজিবি'র প্রতিটি সদস্য সবসময়ই আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে-এই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক, সকল অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তর ছাড়াও সারাদেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে বিশেষ দোয়া, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।