গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ সৈয়দ আরিফ হাসান রনি, মোঃ সুমন ইসলাম হৃদয়, রাসেল আহমেদ, হাবিব ও খন্দকার মোঃ ফারুক।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের লোনের নকল অনুমোদনপত্র, নকল সিল ৭টি, ঋণের নকল চুক্তিপত্র, অফিস রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ব্যাংকের নকল ঋণ আবেদনপত্র এবং গ্রাহককে প্রদানকৃত নকল মানি রিসিট জব্দ করা হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইলমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সংক্রান্ত তথ্য দেখে গ্রেফতারকৃত আরিফের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে আরিফ শিল্প ঋণ, এসএমই, পার্সোনাল লোন ও হোম লোনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রক্রিয়া করার কথা ইলমানকে জানায়। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দুটি লোনের জন্য আরিফের সাথে লিখিত চুক্তি করে এবং অফিস খরচ, ঋণের প্রাক অনুমোদন অডিট বাবদ বিভিন্ন সময়ে ২১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইলমান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইলমান পাওনা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকা না দিয়ে হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনায় ইলমান ডিএমপির মতিঝিল থানায় মামলা রুজু করেন।

তিনি আরো বলেন, মামলাটি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর হলে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতারণা এড়াতে লোন বা আর্থিক কাজের জন্য সরাসরি ব্যাংক বা আর্থক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।