টেকনাফে বিজিবি'র অভিযানে ২ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ
বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি যথাযথ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি'র আভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত দুটি পৃথক অভিযানে ২ ,১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
অদ্য ১০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আলুগোলা নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপি এবং সাবরাং বিওপির দু’টি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক সকাল ০৮০০ ঘটিকায় টহলদল ০৩ জন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে নিয়ে সীমান্তের শূন্যলাইন অতিক্রম করে টেকনাফের নাজিরপাড়া সীমান্তের আলুগোলা এলাকায় বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো ফেলে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া চারটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে তার ভেতর হতে ২,১০,০০০ (দুই লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ০৯৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।