Main Logo
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২৫

'অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে নয় সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে'

অনলাইন ডেস্ক
'অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে নয় সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে'

অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে নয় সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে – শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য নিয়ে শিরোনাম দৈনিক সমকালের। পত্রিকাটি লিখেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অস্ত্র হাতে নয়, রাতের অন্ধকারে নয়, বাংলাদেশে সরকার গঠন হবে ভোটের মধ্য দিয়ে।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা (আওয়ামী লীগ সরকার) মানুষের ভেতরে একটা আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে মানুষের আস্থা অর্জন করা কিন্তু বেশ কঠিন।’ শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাজির হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে মানবজমিনের শিরোনাম - রাতের অন্ধকারে নয়, ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে। তারা লিখেছে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এলে মানুষ তাদের ক্ষমা করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ১ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে ইসি – মানবজমিনের আরেকটি শিরোনাম। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোটগ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা।

গতকাল বিকালে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী সরকার। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।

সংলাপ সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রকে জানাল আওয়ামী লীগ – নয়া দিগন্তের শিরোনাম। বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চিঠিতে সংলাপের শর্ত থাকলেও তা সময়স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব নয় বলে প্রতিউত্তরের চিঠিতে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠির জবাব নিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। দূতাবাসের অ্যাকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন আর্টুরো হাইন্সের কাছে চিঠি হস্তান্তর করা হয়।

একই খবর নিয়ে ডেইলি স্টারের শিরোনাম – Not enough time left for meaningful dialogue অর্থাৎ ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগ লিখেছে অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় এখন নেই। চিঠিতে বলা হয় দলটি কয়েক মাস ধরেই শর্তহীন আলোচনার পথ খোলা রেখেছিল, কিন্তু বিএনপির একরোখা মনোভাবের কারণে সেটি সম্ভবপর হয়নি।

নেতাকর্মীদের না পেয়ে স্বজনদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে – বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে শিরোনাম করেছে কালের কন্ঠ। তাদের খবরে বিস্তারিত বলা হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাঁদের স্বজনদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুলে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন চালনো হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন। রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পাইকারি হারে গ্রেপ্তারের শিকার। তাঁদের ধরতে না পারলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বাবা, শ্বশুর, ছোট ভাই—এমনকি বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত।

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তি মিলছে না সহসাই – দৈনিক কালবেলার প্রধান শিরোনাম। বলা হয় সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষ নেতারা নানা মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক হয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।

বিএনপির আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, একটা মামলায় জামিন পেলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, যেন সহসাই তারা কারামুক্ত হতে না পারেন। গ্রেপ্তার দেখানোর মামলায় জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সেখানে জামিন না পেলে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান তারা।

শ্রমিক অধিকার হরণ হলে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র – এমন মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিবিসি বাংলার বরাত দিয়ে খবরটি ছাপিয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক।

ঝড়ে সাতজনের মৃত্যু, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি – ঘূর্ণিঝড় মিধিলি নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গতকাল শুক্রবার বরিশাল-খুলনা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে কয়েকটি জেলার আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিনষ্ট হয়েছে খেতের ফসল ও শাকসবজি। তার ছিঁড়ে পড়ায় অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। কাঁচাঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঘর ভেঙে পড়েছে। বরগুনার পাথরঘাটায় নিখোঁজ আছেন ২০টি ট্রলারের ৩০০ জেলে।

কূটনীতিকদের উপর সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য – বণিক বার্তার খবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অপরাধে বিদেশিরা, আসামি ৩৩ দেশের ৭২৬ নাগরিক -প্রথম আলোর খবর। বিস্তারিত বলা হয় অনলাইনে বন্ধুত্ব গড়ে দামি উপহার পাঠানো, স্বর্ণে বা বিটকয়েনে বিনিয়োগ ও আকর্ষণীয় উপার্জনের আশ্বাসসহ নানা ফাঁদে ফেলে মানুষের কাছ থেকে অর্থ বের করে নেয়ার ঘটনা প্রায়ই আলোচনায় আসে। এ ধরণের ঘটনায় অনেক বিদেশি নাগরিকের সম্পৃক্ততাও পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে এটিএম বুথে জালিয়াতি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইনে ক্যাসিনো, অপ্রচলিত মাদকের কারবার, জাল মুদ্রা, সোনা চোরাচালান ও মানব পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও অনেক বিদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন। আইনশৃঙ্কলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন মামলায় গত ১০ বছরে আসামি হয়েছেন ৩৩ দেশের ৭২৬ নাগরিক, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাইজেরিয়ার, এরপর রয়েছে পাকিস্তান ও ক্যামেরুন। নানা অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৪ দেশের ১৩৭ জন। এখন কারাগারে ৫১ জন, বাকিরা জামিনে মুক্ত।

সংবাদপত্রছবির উৎস,বিবিসি বাংলা
এলসি খুলতে ব্যাংক নির্বাহীদের পেছনে ছুটছেন বড় উদ্যোক্তারাও! বণিক বার্তার প্রধান এই খবরে বলা হয় কিছুদিন আগেও ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুরোধ নিয়ে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে ছুটেছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এমনকি ব্যাংকের এমডিসহ শীর্ষ নির্বাহীদেরও এ নিয়ে উদ্যোক্তাদের কাছে থাকত বিশেষ অনুরোধ। এ চিত্র পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে ডলার সংকট।

এখন আমদানি চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ডলারের সংস্থান ও এলসি খোলার অনুরোধ নিয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের কাছে ছুটে আসতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। ব্যাংকে সফলভাবে এলসি খোলা নিশ্চিত করাটাও এখন আমদানিকারক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি-পরিচালকদের অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, একদিকে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও কমছে। আবার বিদেশী রফতানিকারকরাও এখন দেশের আমদানিকারকদের ওপর সময়মতো মূল্য পরিশোধ নিয়ে আস্থা রাখতে পারছেন না।

আগে এলসি খোলার বিষয়টি উদ্যোক্তা বা শীর্ষ নির্বাহী পর্যন্ত কখনই যেত না। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় তাদেরই এখন ব্যাংকে গিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। এর পরও ব্যাংকগুলো এখন এলসি খুলতে নানা ধরনের শর্ত দিচ্ছে। এমনকি অনেক সময় বাইরে থেকে ডলার সংগ্রহ করে দিতেও বলা হচ্ছে।

সমঝোতা না হলে অর্থনীতির বিপদ – দেশ রুপান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হয় রপ্তানি আয়ের প্রধান অঞ্চলগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি তীব্র ডলার সংকটে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বড় ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ কোম্পানি লোকসানে পড়েছে। এমন সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যেই দেশে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কার্যক্রম চলছে, যা সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলের আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা আশা করছে দেশের বিভিন্ন মহল।

এছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে প্রথম পাতায় খবর ছেপেছে প্রায় সব জাতীয় পত্রিকাই। রোববারের ফাইনাল নিয়ে যুগান্তর শিরোনাম করেছে মোদির শহরে বিশ্বকাপের গদিতে কে?

বলা হয় ৫ই অক্টোবর যে স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ, আগামীকাল স্বপ্নের ফাইনালে সমাপ্তিও সেখানে। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। যারা আগে থেকে হোটেলে বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন সবই প্রায় বাদ হয়ে গেছে। চার হাজার টাকার হোটেল ভাড়া গিয়ে ঠেকেছে ১৬ হাজারে। টিকিট তো নাগালের বাইরেই।

এমনকি ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে আহমেদাবাদমুখী সব ধরনের যানবাহনের টিকিটের মূল্যও আকাশচুম্বী। স্বাগতিক ভারত ফাইনালে উঠলে যে এমনটা হবে সেটা আগে থেকেই অনুমিত ছিল।

উৎস : বিবিসি বাংলা

উপরে