Main Logo
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩৪

‘সহিংসতা নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা’-ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সহিংসতা নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা’-ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতাই নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা। নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অর্থনৈতিকসহ সকল অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নারীর প্রতি সহিংসতা সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। সময় পরিবর্তনের সাথে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। 
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন -সহিংসতা প্রতিরোধে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, ইউএন এজেন্সিস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নারীদের সহায়তার জন্য ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে। নারী নির্যাতন -সহিংসতা প্রতিরোধে বিদ্যামান আইন সংস্কার ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন, নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁও এ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ বাংলাদেশ এবং এলসিজিওয়েজ এর যৌথ উদ্যোগে ১৬ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধন বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। বৈশ্বিক সমস্যা। অধিকাংশ নারীরা পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়। এ সহিংসতা সামাজিক রীতিনীতি, আচার, আচরণ এবং পুরুষের মনমানসিকতা দ্বারাও প্রভাবিত হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে নারীদের প্রতি স্টেরিওটাইপড মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে। 

রাউন্ড টেবিল আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, ইউএন। উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটিভ গীতাঞ্জলী সিং, ইউএনএফপিএ কান্ট্রি  রিপ্রেজেন্টটিভ ক্রিস্টিন ব্লকউস, অধ্যাপক তানিয়া হক, ও ব্যারিস্টার  ফারজানা মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল  প্রোগামের প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। 
এ বছর নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধের অঙ্গীকারের মাধ্যমে শুরু হলো ১৬ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ। যা প্রতিবছর ২৫শে নভেম্বর থেকে শুরু করে ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শেষ হয়। এবছরের প্রতিপাদ্য (২০২৩) “UNiTE! Invest to Prevent Violence Against Women and Girls” ‘নারীর জন্য বিনিয়োগ, সহিংসতা প্রতিরোধ’। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারী সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ; নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।

উপরে