শোকজের জবাবে সাকিব
‘প্রথমবার ইলেকশনে অংশ নিচ্ছি, স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতে পারে’
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা শোকজের জবাব দিয়েছেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ জবাব দেন। এরআগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।
শোকজের জবাব দিয়ে বের হয়ে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতে পারে, তবে তা আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়মকানুন জানবো, পড়বো, বুঝবো; তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখবো।’
সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জড়ো হন। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। তারপরও ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবো। আইন মেনে চলবো।’
এরআগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। শোকজ পাওয়ার পর শুক্রবার সাকিব আল হাসান আদালতে উপস্থিত হয়ে তার ব্যাখ্যা দেন।