'তৃণমূলে মার খাচ্ছে আওয়ামী লীগ'
বিবিসি বাংলা
নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘাত সংঘর্ষ নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘তৃণমূলে মার খাচ্ছে আওয়ামী লীগ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠ থেকে সরায় নি আওয়ামী লীগ।
এতে নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন । বেড়েছে অভ্যন্তরীণ সংকট।
নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই ঘটছে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা। এতে হতাহতও হচ্ছে অনেক।
কোথাও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। আবার কোথাও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করছে নৌকার সমর্থকরা।
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও বন্ধ হচ্ছে না হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা।
গত আট দিনে অর্ধশতাধিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত দুই শতাধিক আহত এবং তিনজন নিহত হয়েছেন। ফলে নির্বাচনী এসব সহিংসতায় তৃণমূলে মূলত মার খাচ্ছে আওয়ামী লীগই।
নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ভোটের দিন ঘিরে কর্মসূচি জোরালো করবে বিএনপি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভোটের দিন ঘিরে কর্মসূচি জোরাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে।
মূলত ৭ই জানুয়ারির ভোট ঠেকানোই এখন বিএনপি ও যুগপৎ শরিকদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ভোটারদের ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এখন ভোটের দিন ও আগের কয়েক দিন ঘিরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোটের আগে টানা ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা অবরোধ অথবা হরতাল ও ভোটের দিন হরতালের কর্মসূচি আসতে পারে।
নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এখন ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচিতে রয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হরতাল-অবরোধের সাময়িক বিকল্প হিসেবে জনসম্পৃক্ত এই কর্মসূচি ঘিরে আত্মগোপন অবস্থা থেকে নেতাকর্মীদের অনেকেই প্রকাশ্যে আসছেন, সংগঠিত হচ্ছেন।
প্রথম আলো
টিআইবির হলফনামা ভিত্তিক বিশ্লেষণ নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘আওয়ামী লীগের ৮৭% প্রার্থী কোটিপতি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনের আগের চেয়ে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী বেশি।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের দেয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। স্বতন্ত্রদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৪৭ শতাংশ। এরপরেই জাতীয় পার্টির অবস্থান। তাদের প্রার্থীদের প্রায় ২২ শতাংশ কোটিপতি। সংস্থাটি কোটিপতির হিসাব করেছে নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, সোনাসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে।
জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাপক সম্পদ এই হিসেবে আসেনি। আবার যে তথ্য দেয়া হয়েছে সেটা পূর্ণাঙ্গ কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
টিআইবি, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া এক হাজার ৯২০জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে।
টিআইবি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, আয়, সম্পদ, দায়, মামলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছে।
সবচেয়ে বেশি আয় বৃদ্ধি, সম্পদ বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি জমি, সবচেযে বেশি ঋণগ্রস্ত ১০ জন প্রার্থীর তালিকাও তুলে ধরেছে।
বণিক বার্তা
টিআইবির বিশ্লেষণ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘শতকোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ১৮ প্রার্থীর’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
শতকোটি টাকার বেশি অস্থাবর সম্পদ রয়েছে এ তালিকায় শীর্ষে আছেন বর্তমান পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তার সম্পদ রয়েছে এক হাজার ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার।
সংস্থাটির দাবি, বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের বিদেশে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। এ বিনিয়োগের তথ্য তিনি নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি। টিআইবি ওই মন্ত্রীর নামও প্রকাশ করেনি।
এদিকে গত ১৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে এমন শীর্ষ আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর তালিকা তুলে ধরেছে টিআইবি। সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তার সম্পদ বৃদ্ধির হার ছয় হাজার ৩৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
প্রার্থীদের যেভাবে সম্পদ বেড়েছে, বৈধ উপায়ে এভাবে সম্পদ বাড়ে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।