Main Logo
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৭

'যুক্তরাজ্যে ২৬০টি সম্পদের মালিক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ'

বিবিসি বাংলা

'যুক্তরাজ্যে ২৬০টি সম্পদের মালিক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ'

Javed owns at least 260 properties in the UK – ডেইলি স্টার পত্রিকার একটি বড় শিরোনাম এটি । এ খবরটিতে বলা হয়, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ২৬০টি সম্পত্তি রয়েছে যেগুলোর জন্য তিনি প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ১৮৮৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন, যুক্তরাজ্যে সরকারের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যের হিসাবে এটি বলছে পত্রিকাটি।

ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগের তিন বারের এই সংসদ নেতার যুক্তরাজ্যে সম্পদের বিপরীতে আরও কমপক্ষে ৫৩৭টি মর্টগেজ রেখেছেন, যেগুলোর বেশিরভাগই লন্ডনে। যদিও তিনি নির্বাচন কমিশনে যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন তাতে বিদেশে সম্পত্তির কথা উল্লেখ নেই। এখানে বলা আছে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় মাত্র ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। তবে সংস্থাটি মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। এদিকে ডেইলি স্টার বলছে চট্টগ্রাম - ১৩ আসনে চতুর্থবারের মতো লড়তে যাওয়া সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাদের কোন কল বা মেসেজের উত্তর দেননি।

খবরটি নিয়ে মানবজমিন শিরোনাম করেছে ২৩০০ কোটি টাকার তথ্য গোপনে ব্যবস্থা কী?

তারা লিখেছে বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিদেশে থাকা এই বিনিয়োগের তথ্য নির্বাচনী হলফনামায় না দেয়ার কারণে একজন প্রার্থী হিসেবে শাস্তি পেতে পারেন। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে বিবেচনা – পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং নিয়ে খবরটি ছাপিয়েছে দৈনিক দেশ রুপান্তর।

বিস্তারিত বলা হয় তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ২১ ডিসেম্বর বলেছেন, ‘এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীবিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। আসন্ন নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে চীন কাজ করতে আগ্রহী।’

বাংলাদেশ চীনের কাছে তিস্তা নদীর উন্নয়ন-সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করেছে কি না এই প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল এবং ব্যয় কত এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বিবেচনা করে দেখবে।’

অর্ধেকের বেশি অর্থ যাচ্ছে ঋণ পরিশোধে – কালের কন্ঠের খবর। এতে বলা হয় ডলার সংকটের মধ্যে চাপ বাড়াচ্ছে বিদেশি ঋণ ও সুদ পরিশোধ। বছরের ব্যবধানে শুধু সুদ পরিশোধের হার প্রায় আড়াই গুণ। তবে আশানুরূপ ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এর প্রভাব পড়ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে।

ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধির এই ধারা আগামী বছরগুলোতেও থাকবে। পর্যাপ্ত ঋণের অভাবে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্র্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ডলার-সংকটের চাপে জ্বালানি তেলের মজুত – প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে জ্বালানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকট কাটছে না। বকেয়া পরিশোধে চাপ দিচ্ছে বিদেশি কোম্পানি। জ্বালানি তেলের আমদানির ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না নিয়মিত। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার ছাড় করার পর ঋণপত্র খুলছে ব্যাংক।

এতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ধরে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মজুত প্রায় শেষের দিকে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের। কমে আসছে ডিজেলের মজুতও। ডলার-সংকটের বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত জানাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এ নিয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছে মন্ত্রণালয়।

তবে চাহিদামতো ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। বিল দেরিতে পরিশোধের জন্য নিয়মিত জরিমানা দিতে হচ্ছে। অনিশ্চয়তা থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো ঋণপত্রে নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এতে আমদানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

উপরে